ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবন ও মধুর ক্যান্টিন এলাকায় সংঘটিত ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে উল্লেখ করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবন ও মধুর ক্যান্টিন এলাকায় এক অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি কেন ও কীভাবে সংঘটিত হয়েছে এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত, তা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করার জন্য কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন, শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য ড. মো. মিজানুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাঈনুল করিম।

ঘটনাটি তদন্ত করে ছয় কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে নিজ কক্ষে হামলার শিকার হন ভিপি নুরুল হক নুর। এ সময় আহত অন্তত ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ডাকসুর সিসিটিভি ফুটেজ হাওয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা করে গতকাল। কিন্তু এই হামলার পরে এবার ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হয়ে গেছে। কে বা কারা ফুটেজগুলো গায়েব করল, সে কিছুই জানেন না কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভবনের বাইরে এবং ভেতরে মিলিয়ে মোট নয়টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা আছে। যার ফুটেজগুলো ধারণ করা হতো ডাকসুর সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার আবুল কালাম আজাদের কক্ষে। সেই কক্ষে একটি মনিটর এবং একটি সিপিইউ ছিল। কিন্তু ডাকসু ভবনে নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনার পর সেই মনিটর এবং সিপিইউয়ের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, গতকাল দুপুরে যখন ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুলের ওপর হামলা হয়, তখন তিনি বিষয়টি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানীর কার্যালয়ে যান। সেখানে প্রক্টর অফিসের একজন কর্মকর্তা তাকে জানান, ডাকসুর প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরে ডাকসুর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসাইন এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজীত চন্দ্র দাসকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।‘সেখানে গিয়ে তারা ডাকসু ভবনের গেট খুলতে বলেন। কিছুক্ষণ পর গেট খুলে দিলে কিছু অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে তারা ভবনের ভেতরে ঢোকেন।

তিনি আরও জানান,  কে বা কারা  মনিটর এবং সিপিইউ নিয়ে গেছে , তা তিনি জানেন না।