অনিরুদ্ধ রেজা,কুড়িগ্রাম 
টানা ৬ দিন হাড়কাঁপানো শীতে পর সোমবার কিছু সময়ের জন্য সুর্যের দেখা পেয়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। এতে উ ণতা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও ঠান্ডার প্রকোপ রয়েই গেছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস জানায় সোমবার জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
কয়েক দিন পর সুর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা নি¤œগামীই থেকে যাচ্ছে। কনকনে ঠান্ডার সাথে হিমেল হাওয়ায় দুর্ভোগে রয়েছে নি¤œ আয়ের মানুষজন।
প্রায় এক সপ্তাহের শৈত্য প্রবাহে গরম কাপড়ের অভাবে কনকনে ঠান্ডায় শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাস কষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানা শীত জনিত রোগে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শাহিনুর রহমান সরদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২শ৬ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে শ্বাস কষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছে ১০ জন শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৬ জনের মধ্যে ২৩ জনই শিশু।
এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।
ঠান্ডায় দুর্ভোগে রয়েছে জেলার ৪ শতাধিক চরা লের মানুষজন। শীত নিবারনের গরম কাপড় না থাকায় খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন তারা। অনেকেই ছুটছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানে।
জেলার হতদরিদ্র ছিন্নমুল মানুষেরা তীব্র শীত কষ্টে ভুগলেও সরকারী বা বেসরকারী ভাবে শীত বস্ত্র বিতরনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে জেলার ৯ উপজেলায় শীতার্ত মানুষের জন্য ৫১ হাজার ৫শ ১৪টি কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা চলতি আগেই বিতরণ করা হয়েছে।