নীলফামারী: আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আইনী সেবাদানের পাশপাশি প্রাণঘাতি করোনা (কোভিট-১৯)’র সংক্রমন ঝুঁকি এড়াতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন জেলা পুলিশ প্রশাসন। জনসমাগম রোধ কল্পে পুলিশের কর্মতৎপরতায় ফাঁকা জেলা শহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অ লের রাস্তাঘাট। অনেকটাই মানবশুন্য হয়ে পড়ছে গ্রামগঞ্জের হাটবাজারগুলি।

মঙ্গলবার সকালে নীলফামারীসহ ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতেও দেখা মিলেছে একই চিত্র। শহরের দোকানপাট গুলো ছিল বন্ধ,  রাস্তাঘাট গুলোতে দেখা মেলেনি মানুষজনের। চিলাহাটি পুলিশের তৎপরতায় হাট বাজার গুলোতে মানবশুন্য হয়ে পড়েছে বলে জানান সার ও কীটনাশক নিতে আসা মোসফিকুর রহমান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি।

কথা হয়, হয় তাঁর সাথে, তিনি আরো বলেন, “করোনা সংক্রমের ঝুঁকি রোধে জনসমাগম এড়াতে এখানকার পুলিশের তৎপরতায় ঘরে বসেই কাটাতে হচ্ছে অলস সময়। এমনকি শহরের বাইরের গ্রামগুলিতেও প্রতিনিয়তই টহল দিচ্ছে পুলিশ। ঘর থেকে কিছুতেই বেড়–তে পারছেন না এখানকার মানুষজন।”    

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় শহরের বোতলগঞ্জে ডিউটিরত ডোমার উপজেলার চিলাহাটি তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এস.আই) সৈকত রায় এর সাথে, তিনি বলেন, “করোনার সংক্রমন ঝুঁকি এড়াতে সব ধরণের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান মহোদয়ের নির্দেশনায় করোনা সংক্রমন রোধে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডোমার সার্কেল) জয়ব্রতপাল মহোদয়। এরই ধারাবাহিকতায় ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহোদয়ের তদারকিতে ডোমারথানাধীন চিলাহাটি এলাকায় জনসাধারণদের মাঝে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণসহ নানা কার্যক্রম করে আসছে চিলাহাটি তদন্ত কেন্দ্র। এরফলে এ অ লের মানুষ সচেতন হয়ে জনসমাগম এড়িয়ে নিজ বাড়ীতেই অবস্থান করছেন”। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আইনী সেবাদানের পাশাপাশি করোনা সংক্রমন রোধে জেলার প্রতিটি থানায় বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার স্থান, রাখা হয়েছে সাবানসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার। চলমান আছে রাস্তায় জীবানুনাশক স্প্রে কার্যক্রম”। “জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই এসব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি”