নীলফামারী: ‘কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ বা ইঞ্জিনীয়ার, কেউ হতে চায় ব্যবসায়ী, কেউ বা ব্যারিষ্টার, আমি ভব ঘুরেই হবো এটাই আমার এ্যাম্বিশন’ নচিকেতার এই গানের কথার সাথে, নিজেকে প্রস্তুত রেখে সেবাকে এ্যাম্বিশন হিসেবে নিয়ে প্রায় ৪০ বৎসর যাবত পৌরবাসীসহ গণমানুষের সেবা করে আসছেন নীলফামারী পৌরমেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ।
চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নজীর বিহীন অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মানবসেবার পাশাপাশি চলমান লকডাউনের ফলে হোটেল রেস্তোরা গুলো বন্ধ থাকায় অভুক্ত কুকুরদেরও নিয়মিত খাদ্য সেবা চলমান রেখেছেন করোনা যুদ্ধে শামিল হওয়া এই যোদ্ধা।
করোনার এ ক্রান্তিলগ্নে সারাদেশের ন্যায় নীলফামারীতেও উন্নয়ন কার্যক্রম থমকে থাকলেও, থেমে নেই করোনা যুদ্ধে নিজেকে শামিল করে দেয়া এ যোদ্ধার যুদ্ধ। পৌর এলাকায় নিয়মিত জীবানু নাশক ছিটানো, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কসহ এ অ লের শ্রমজীবী মানুষের বাড়ীতে পৌছে দেয়া খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচী। এছাড়াও জেলা জুড়ে লকডাউনের ফলে হোটেল রেস্তোরা গুলো বন্ধ থাকায় শহরের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ অভুক্ত কুকুরদেরও নিয়মিত খিচুড়ী রান্না করে তা নিজ হাতেই এসব ক্ষুধার্ত কুকুরদের মাঝে খাদ্য সেবা চলমান রেখেছেন এই মানুষটি।
নীলফামারী পৌরসভার অফিস সহকারী সূজন প্রধান জানায়, “করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সামজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরণে পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে গঠন করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক টিম। স্থানীয় কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় কাজ করছে তারা। ফলশ্রুতিতে ঔষদের দোকান গুলোর সামনে অঙ্কিত করা হয়েছে সামাজিক দুরত্বের বৃত্ত। শহরের গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে অস্থায়ী পানির ট্যাঙ্কসহ বেসিন। শুধু তাই নয়, পৌর এলাকায় নিয়মিত চালানো হচ্ছে মশক নিধন কার্যক্রম”।
এ বিষয়ে ম্যাপ’র সভাপতি, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগ’র সভাপতি কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, “নীলফামারীর মানুষকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে সুরক্ষিত রাখতে পৌর সভার সকল কর্মচারীদের সমন্বয়ে একত্রিত হয়ে কাজ করছি। করোনা সংক্রমন ঝুঁকি এড়াতে বাসায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার আমাদের সহযোগিতা করছে। সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রাণ দফায় দফায় দরিদ্র, কর্মহীন অসহায় মানুষদের বাড়ী বাড়ী পৌছে দেয়া হচ্ছে। এমনকি জেলা চলমান লকডাউনে থাকায় হোটেল রেস্তোরা গুলো বন্ধ থাকায় শহরে আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ানো অভুক্ত কুকুরদেরও খাবার দেয়া হচ্ছে”।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম গুলো চলমান থাকবে বলেও জানান করোনা যুদ্ধে শামিল হওয়া এই যোদ্ধা