আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, একটি জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছিলেন তাকেই খুনিরা হত্যা করল।

তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা পারেনি। কিন্তু জাতির পিতার যাদের প্রতি বিশ্বাস ছিল ভালোবাসা ছিল তারাই জাতির পিতাকে হত্যা করে বিশ্বাসঘাতকতা করলো।

রোববার (২৩ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গণভবন থেকে অংশগ্রহণ (ভার্চুয়াল) করে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে আদর্শ এবং লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই আদর্শ এবং লক্ষ্য ধ্বংস করাই ছিল খুনিদের লক্ষ্য। তারা কখনই চায়নি বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। এই চক্রান্তের সঙ্গে খন্দকার মোশতাক যেমন জড়িত তেমনি জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিলেন। এই কারণে যে খন্দকার মোশতাক যখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তখন জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান করে।

তিনি বলেন, খালেদ মোশারফ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীতে মুক্তিযুদ্ধে যাদের সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল তাদেরকে বেছে বেছে হত্যা করে জিয়াউর রহমান। সেনাবাহিনীর মেধাবী অফিসারদেরও একে একে হত্যা করা হয়েছে। জিয়া কোনোদিনও তাদের পরিবারের খোঁজ-খবর নেয়নি। এ ছাড়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের কত নেতাকর্মীকে গুম করেছে তার শেষ নেই।

এ সময় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যে, তারা বারবার আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমাদেরকে ভোট দিয়েছেন, তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের একটাই লক্ষ্য থাকবে, যাতে দেশের একটি মানুষও গৃহহীন না থাকে। প্রতিটি মানুষকে অন্তত আমরা একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেব।’

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শোকাবহ যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করা হয়। সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এরপর বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও সংগ্রামী জীবনের উপরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।