|| পুরান ঢাকার নবাবগঞ্জ সেকশনে অবৈধ ইজিবাইক স্ট্যান্ড || 


পুরান ঢাকার নবাবগঞ্জ সেকশন ঢালে প্রতিদিন নিষিদ্ধ ইজিবাইক (অটোরিকশা) থেকে অবৈধ চাঁদাবাজি চলছে বীরদর্পে। 

এসব ইজিবাইক চাঁদাবাজরা সেকশন পুলিশ ফাঁড়ির ঢাল থেকে নিউমার্কেট সড়কে চলাচলরত ইজিবাইক থেকে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে কয়েক লাখ টাকা।

এই সড়কে চলাচলরত সাধারণ ইজিবাইক চালকরা এসব চাঁদাবাজদের হাতে একেবারে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই সড়কে চলাচলরত ইজিবাইজ চালক ও সাধারণ যাত্রীদের প্রশ্ন এসব দূর্ধর্ষ চাঁদাবাজদের রুখবে কে?

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নবাবগঞ্জ সেকশন পুলিশ ফাঁড়ির ঢালে গিয়ে সরেজমিন ঘুরে এসব ইজিবাইক চাঁদাবাজদের দৌরাত্মের কাহিনী জানা যায়। এই সড়কে চলাচলরত সাধারণ ইজিবাইক চালকগণ তাদের নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, সেকশন পুলিশ ফাঁড়ির ঢাল থেকে নিউমার্কেট সড়কে চলাচল করতে হলে প্রতিটি ইজিবাইক চালককে স্ট্যান্ডে ৪৫০ টাকা করে প্রতিদিন দিতে হয়।  রাস্তায় গাড়ি যানজট নিরসন করার জন্য একজন ভলেনটিয়ারকে দিতে হয় ৭০ টাকা করে।

সর্বমোট এই সড়কে প্রতিদিন ৫২০ টাকা করে দিতে হয় প্রতি ইজিবাইক চালকদের। এই ছোট সড়কে মোটা গাড়ির সংখ্যা আনুমানিক ৭৭টির মত এর মদ্ধ্যে ১৫ টি চলে বিভিন্ন নেতা কর্মীদের নামে, এসব ইজিবাইকের কোন চাঁদা নেয়া হয় না । প্রতিদিন ৬২ টি ইজিবাক থেকে চাঁদার ২৭,৯০০ টাকা আদায় হচ্ছে, যা প্রতি মাসে দাড়ায় ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

সূত্র জানায়,  সেকশন পুলিশ ফাঁড়ির ঢাল থেকে নিউমার্কেট সড়কে প্রতিদিন হরদম চলছে সরকার নিষিদ্ধ এসব অবৈধ ইজি বাইক। রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে এ সকল ইজি বাইকের নেই কোন প্রকার লাইসেন্স কিংবা অনুমোদন। 

বিশেষ সূত্র থেকে আরো জানা যায়,  এই লাইনটি চলে লালবাগের সাবেক যুবলীগ নেতা বিপ্লবের নেতৃত্যে । সেকশন পুলিশ ফাঁড়ির ঢাল থেকে নিউমার্কেট সড়কে সরকার নিষিদ্ধ ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে ২৩ নং ওয়ার্ডের মোঃ পারভেজ,কুদ্দুস,বাদল,ইলিয়াস । এরা নিজেদেরকে যুবলীগ নেতা বিপ্লবের সহকর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। 

মূলত যুবলীগ নেতা বিপ্লবের শেল্টারেই চলে ইজিবাইকের এই স্ট্যান্ডে।