ব্যুরো প্রধান কিশোরগঞ্জ
প্রয়াত গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এর সহধর্মিণী সৈয়দা শিলা ইসলামের গতকাল তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী (২৩ অক্টোবর) ছিল । ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর লন্ডনের এন এইচ এস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের ইউ সি এল এইচ ইউনিভার্সিটি কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ক্যান্সারের সাথে লড়ে জীবনযুদ্ধে পরাজিত হলেও সৈয়দা শিলা ইসলাম ছিলেন কিশোরগঞ্জবাসীর এক পরম সুহৃদ। তিনি সময়ে-অসময়ে ছুটে আসতেন কিশোরগঞ্জ। স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন ও তদারকি ছাড়াও ছুটে যেতেন সংসদীয় এলাকার ব্যস্ত শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে গঞ্জে ।
খোঁজ নিতেন ও তাদের সেই সব এলাকাবাসীর সমস্যা, অভাব-অভিযোগের কথাও শুনতেন । মানুষের সঙ্গে মিশতেন খুব আন্তরিকভাবে। সময় দিতেন এতিম শিশু ও বৃদ্ধ-অসহায় নারী-পুরুষদের।
এভাবেই নিরবে-নিভৃতে প্রয়াত জননেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের যোগ্য জীবনসঙ্গী হিসেবে তিনি এলাকাবাসীর পাশে ছিলেন বছরের পর বছর। তাঁর চিরবিদায়ে কিশোরগঞ্জবাসী হারায় তাদের এক পরম কাছের সুখ দুঃখ ভাগ করে নেয়ার মানুষটিকে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মতোই অত্যন্ত সাধারণ ভাবেই জীবনযাপন করতেন সৈয়দা শিলা ইসলাম। মানবিক এই মানুষটি সময় পেলেই ছুটে যেতেন কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এতিমখানায় ও তিনি এতিম শিশুদের জন্য খাবার ও নতুন পোশাক সঙ্গে নিয়ে যেতেন। সংশ্লিষ্টরা বলেন, শিশুর মতো কোমল হৃদয় ছিল সৈয়দা শিলা ইসলামের। শিশুর সারল্য তাঁর অভিব্যক্তিতে ফুটে ওঠতো ও প্রাণ খুলে হাসতেন তিনি। সহজেই মানুষকে আপন করে নেয়ার এক অদ্ভুত গুণের অধিকারী ছিলেন সৈয়দা শিলা ইসলাম।
প্রয়াত জননেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মতো কিশোরগঞ্জের উন্নয়ন নিয়ে ভাবতেন তিনিও। কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ স্থাপনে সৈয়দা শিলা ইসলামের অবদান ছিলো সবচেয়ে বেশি। কিশোরগঞ্জের প্রায় সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাঁর হাতের ছোঁয়া ছিলো। শুধু তাই নয় কিশোরগঞ্জে একটি শিশু পার্ক করার ইচ্ছেও ছিলো সৈয়দা শিলা ইসলামের। কিন্তু তার আগেই তিনি আমাদের কিশোরগঞ্জবাসীকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কিশোরগঞ্জের উন্নয়নের জন্য সৈয়দা শিলা ইসলামের মতো নিবেদিত মানুষ বড়োই অপরিহার্য্য ছিলেন।