শেষে হচ্ছে সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা। প্রতীক্ষার শেষ হচ্ছে ভক্তদের। সবার চাওয়া একটাই, এমন ভুল যেন সাকিব আর কখনো না করেন। সেই সাথে চাওয়া, সাকিবের করা ভুল থেকে যেন অন্যরাও শিক্ষা নেয়। দেশের ক্রিকেটে সাকিবের প্রয়োজনীয়তা কতটা জরুরি সেটিও মনে করিয়ে দিলেন সাকিব ভক্তরা। এক বছর ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও ভক্তকুলের বিশ্বাস আগামীকাল থেকে সাকিব ফিরবেন আরো অনেক শক্তিশালী হয়ে।

জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় গত বছর অক্টোবর মাসে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিবকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। এর মধ্যে রয়েছে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিবকে এ শাস্তি দেয়া হয়।

এ শাস্তি মেনেও নেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এই ক্রিকেটার। একদিন পর ক্রিকেটে ফিরলেও ভবিষ্যতে যদি একই ধরনের অপরাধ করেন তা হলে সাকিবের এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

গত বছর হঠাৎ করেই সাকিবের নিষেধাজ্ঞার খবরটি এসেছিল। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারত সফর ও ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারেননি তিনি। গত বিপিএলেও খেলতে পারেননি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। 

এদিকে করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ বেশ কিছু সিরিজ স্থগিত হয়েছে। তাই তেমন বেশি ক্রিকেট মিস করতে হয়নি সাকিবকে। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তার।