অধিবেশনের শুরুতে সব সংসদ সদস্যকে অধিবেশনে স্বাগত জানিয়ে স্পিকার বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এই অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশমতো অধিবেশনকক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টানানো হয়েছে বলে সংসদকে অবহিত করেন স্পিকার। এরপর গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশন পরিচালনায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এরপর স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অধিবেশন পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যদের সভাপতিমণ্ডলী নির্বাচন করেন স্পিকার। নির্বাচিতরা হলেন-আবুল কালাম আজাদ, বীরেন শিকদার, মো. শামসুল হক টুকু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) মাহবুবে আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী, একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রশীদ হায়দার, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি আবুল হাসনাতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। শোক প্রস্তাব উত্থাপন শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টায় সংসদের বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হবে। শুরুতে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভাষণ সংসদ কক্ষে দেখানো হবে। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবন নিয়ে ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার পর তা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হবে। ওই প্রস্তাবের ওপর সরকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের দীর্ঘ আলোচনা শেষে তা পাস হবে। সাধারণ প্রস্তাবের ওপর টানা চার দিন আলোচনা শেষে আগামী বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হবে। এরপর আগামী সপ্তাহে দুই বা তিন দিন সাধারণ বৈঠক চলার মাধ্যমে অধিবেশনটি শেষ হবে।