ইউরোপিয়ান সুপার লিগের ঘোষণা দেওয়া মাত্র মহাবিতর্ক শুরু হয়েছে, এরপরই নিজেদের অবস্থান দৃঢ় রাখতে একের পর এক যুক্তি ছাড়ছেন সুপার লিগের আয়োজকেরা। টুর্নামেন্টের সাধারণ সম্পাদক আনাস লাঘরারি যেমন যুক্তি দিলেন, বিশ্বসেরা ফুটবলাররা এ টুর্নামেন্টে নিয়মিতই একে অপরের মুখোমুখি হবেন।
দর্শকেরা যা দেখতে চান, বিশেষ করে তরুণেরা; বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের নিয়মিত মুখোমুখি হওয়া—সুপার লিগে সেটাই দেখাতে চান আয়োজকেরা। কিন্তু এ টুর্নামেন্ট চালু হওয়া মানে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা চ্যাম্পিয়নস লিগের গুরুত্ব হারানো। সুপার লিগ সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আর্বিভূত হবে এবং যে ১২টি ক্লাব এ টুর্নামেন্টের প্রতিষ্ঠাতা, তারা অংশ নিলে চ্যাম্পিয়নস লিগ তারকাশূন্য হয়ে পড়বে।
রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, আতলেতিকো মাদ্রিদ, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস ও এসি মিলান—এসব ক্লাবের সুপার লিগে খেলা মানে তো লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো থেকে মোহাম্মদ সালাহর মাপের ফুটবলারদের চ্যাম্পিয়নস লিগে আর দেখার সুযোগ না পাওয়া। ওদিকে উয়েফা তো হুমকি দিয়ে বসেছে, সুপার লিগে খেললেই ঘরোয়া লিগ থেকেই নিষিদ্ধ করা হবে!
সম্ভব হলে আসছে অগাস্টেই। সুপার লিগের প্রথম চেয়ারম্যান ও রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস সোমবার রাতে বলেন, উয়েফার সঙ্গে তারা সংঘাতে জড়াতে চান না। আর তাই প্রয়োজনে টুর্নামেন্ট শুরু করতে আরেক বছর অপেক্ষা করতেও তাদের আপত্তি নেই।
উয়েফা অবশ্য শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। সোমবার পেরেস ওই কথা বলার আগেই উয়েফা প্রধান আলেকসান্দের চেফেরিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এফএ, লা লিগা, সেরি আ, ফিফা, এফইএফ, প্রিমিয়ার লিগ সবাই এই উদ্ভট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে। আমরা এই পরিবর্তনের অনুমতি দিচ্ছি না। এই লিগে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়রা তাদের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবে না।”
ঘরোয়া লিগে ভালো করে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হয় ক্লাবগুলোকে। নকআউট পর্বে হাই ভোল্টেজ ম্যাচগুলোর আগে লম্বা গ্রুপ পর্ব পাড়ি দিতে হয় দলগুলোকে। কিন্তু সুপার লিগে প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলো প্রতি মৌসুমেই ‘অটোমেটিক’ খেলার সুযোগ পাবে। তাদের কোনো অবনমন নেই।
অর্থাৎ সুপার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন নিয়ে ভাবতে হবে না প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলোকে। প্রতি মৌসুমেই খেলা এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার চেয়ে অনেক বেশি টাকা কামানোর সুযোগ পাবে ক্লাবগুলো।
সুপার লিগ শুরু করতে চাওয়া ক্লাবগুলো অবশ্য ঘরোয়া লিগ খেলতে চায়। কিন্তু ইনফান্তিনোর সোজা কথা, ‘হয় আপনি থাকবেন, নয়তো যাবেন। মাঝামাঝি বলে কিছু নেই। অর্ধেক থাকবেন, অর্ধেক থাকবেন না, তা হতে পারে না। এটা সবার আগে নিশ্চিত হবে।’ ঘরোয়া লিগে ভালো করে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হয় ক্লাবগুলোকে। নকআউট পর্বে হাই ভোল্টেজ ম্যাচগুলোর আগে লম্বা গ্রুপ পর্ব পাড়ি দিতে হয় দলগুলোকে। কিন্তু সুপার লিগে প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলো প্রতি মৌসুমেই ‘অটোমেটিক’ খেলার সুযোগ পাবে। তাদের কোনো অবনমন নেই।
অর্থাৎ সুপার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন নিয়ে ভাবতে হবে না প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলোকে। প্রতি মৌসুমেই খেলা এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার চেয়ে অনেক বেশি টাকা কামানোর সুযোগ পাবে ক্লাবগুলো।
সুপার লিগ শুরু করতে চাওয়া ক্লাবগুলো অবশ্য ঘরোয়া লিগ খেলতে চায়। কিন্তু ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনোর সোজা কথা, ‘হয় আপনি থাকবেন, নয়তো যাবেন। মাঝামাঝি বলে কিছু নেই। অর্ধেক থাকবেন, অর্ধেক থাকবেন না, তা হতে পারে না। এটা সবার আগে নিশ্চিত হবে।’
ইনফান্তিনো বোঝাতে চেয়েছেন, সুপার লিগে খেললে ঘরোয়া লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও জাতীয় দল—এসব বিষয় ভুলে যেতে হবে প্রতিষ্ঠাতা ক্লাব ও তাদের খেলোয়াড়দের। সুপার লিগ নিয়ে ইনফান্তিনো সোজাসাপ্টাই বলেছেন, ‘ফিফার অনুমোদন নেই। উয়েফার প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।’