করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ব্লাক ফাঙ্গাসে (ধরন) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ভারতে আটকে পড়া ১৬ বাংলাদেশি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। তাদের সবাইকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। গত মঙ্গলবার (০১ জুন) বিকেল বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১৬ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেন । 

তাদেরকে নিজ খরচে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন,পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.সাইফুর রহমান।বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমতি নিয়ে মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে ১৬ জন বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন। এর আগে গত ২৯ মে ১৭ জন, ৩০ মে ১৮, ৩১ মে দেশে ফিরছেন ৪ জন। 

এ নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১ জনু পযর্ন্ত বুড়িমারী চেকপোস্ট দিয়ে মোট ৩৪২ বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন। এরমধ্যে ভারত ফেরত শিক্ষার্থীসহ ৯ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে-পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে আসা ১৬ বাংলাদেশি নাগরিকদের বুড়িমারী স্থলবন্দর আসার পর সকল প্রক্রিয়া শেষে সেখান থেকে ১৪ জনকে নির্ধারিত পরিবহনযোগে (মাইক্রোবাস) পাটগ্রামে বিভিন্ন হোটেলে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন অসুস্থ্য থাকায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হবে। 

সেখানে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তারা। তবে সম্পূর্ণ নিজ খরচে থাকতে হবে সেখানে। আর তা দেখভাল করবে স্থানীয় উপজেলা ও থানা প্রশাসন।এদিকে ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যর থেকে চিকিৎসা নিতে যাওয়া ঢাকা, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নীলফামারীর ১৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক রয়েছেন। তাদের পাটগ্রাম আবাসিক হোটেল প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন অসুস্থ্য থাকায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, ভারত থেকে আসা ৯ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে তবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ব্লাক ফাঙ্গাসে (ধরন) কি না তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।