অপরাধ ||| CHANNEL 7 TV
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ১০বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রফাদফার অভিযোগ উঠেছে কামরাঙ্গীচর থানার ৩ পুলিশ কর্মকতার বিরুদ্ধে।
গত ২৬সে জুন রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকার মজিবর ঘাটের ৭ নং গলির নুরু মিয়ার বাড়ির নিচতলায় একটি কক্ষে নুরু মিয়ার ছেলে রানা মিয়া বয়স (৩৬), ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠে, কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ বাড়ির মালিকের ছেলে মোঃ রানা মিয়া কে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে আনুমানিক বিকেল ৫টা থেকে রাতের ১১টা পর্যন্ত হাজতে রেখে দেয়। তারপর রানা মিয়ার কাছে এসআই আশরাফুল ইসলাম ও তার দুইজন জন সহযোগী এএসআই মোতালেব এবং এএসআই ইউছুফ ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং দীর্ঘসময় ধরে বিষয়টি নিয়ে দেনদরবার চলতে থাকে, অবশেষে রাত ১১ টার পর ১ লক্ষ টাকায় মামলা রফাদফা হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পরবর্তীতে টাকা আদায়ের বিষয়টি জানতে চাইলে এসআই আশরাফুল ইসলাম, এএসআই মোতালেব এবং এএস আই ইউছুফ বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন ওসি স্যার এ বিষয়টি অবগত আছেন।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, কামরাঙ্গীরচর থানা মজিবর ঘাট নুরু মিয়ার বাড়িতে তার ছেলে রানা মিয়া ওরফে (মাউরা রানা) ১০ বছরের এক শিশুকে বাড়ির নিচতলায় ডেকে নেয়, তারপর একটি কক্ষে শিশুর উপর শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।একপর্যায় শিশুর চিৎকারে বাড়ি ও এলাকার লোকজন চলে আসে। পরে শিশুটির কাছ থেকে নির্যাতনের কথা জানতে পেরে বাড়ির লোকজন কামরাঙ্গীরচর থানায় খবর দিলে পুলিশ পরিদর্শক এসআই আশরাফুল ইসলাম, এএসআই মোতালেব এবং এএসআই ইউসুফ মজিবর ঘাট ৭নং গলিতে নুরু মিয়ার বাড়িতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে ঘটনাটির সত্যতা জানতে পেরে মাউরা রানাকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়।
কয়লাঘাট ৭ নং গলির মরহুম মজিবর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে নুরু মিয়ার বাড়িতে ডেকে আনা হয় সোর্স লিটনের মাধ্যমে। পরে থানায় মামলা করার ভয় দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে তিন পুলিশ কর্মকর্তা। স্থানীয় মাইক মিস্ত্রি জামাল সোর্স, লিটন সোর্স অসীম এর মাধ্যমে শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি এক লক্ষ টাকা রফাদফা হয়। এবং ভিকটিমের পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে আপস ও অঙ্গীকারনামা নেয়া হয় শিশুর পরিবারের কাছ থেকে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিমের বাবা বলেন নির্যাতন হইলেন আমার মেয়ে এক লক্ষ টাকা ভোগ করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিলেন তিন পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে তার সঠিক বিচার চাই। ভিকটিমের মা বলেন আমরা অন্যায়ের বিচার চাই।
ভিকটিমের বোন বলেন আইনের রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে এই অন্যায়ের বিচার কিভাবে হবে আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
কামরাঙ্গীচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন এ ব্যাপারে আমি কোন কিছু জানিনা তাই কিছু বলতে পারব না।