নাজমুল হুদা :

 সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে চিকলী নদী খনন করায় সৈয়দপুর-তারাগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি পাড়ার চলাচলের রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার দুঃসহ মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই এলাকার প্রাচীন চিকলী নদী মধুরামপুর চিকলী পাড়ার দুঃখ বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছে।

সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড গত দু’বছর আগে চিকলী নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালি অপসারণ করায় বিগত বন্যায় মধুরামপুর চিকলী পাড়ার প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের চলাচলের রাস্তা, বৃক্ষ, মাদরাসা, মসজিদ ও পারিবারিক কবরস্থান ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এর ফলে কবরস্থান, মাদরাসা ও মসজিদের জমির উপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা করে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন পরিবহন সহ চলাচল করছে।

রাস্তাটি সৈয়দপুর-রংপুর মহাসড়কের হাজীর বটতল এলাকা হতে মধুরামপুর চিকলী পাড়া দিয়ে ভিমপুর হয়ে লালদিঘি, বদরগঞ্জ ও খোলাহাটি সেনানিবাস এলাকায় যোগাযোগের বৃহৎ মাধ্যম। নদী খনন ও নদীর পূর্বে পাড়ে বালি অপসারণ করায় পশ্চিম দিকে বন্যায় প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে করে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কুজিপুকুর, খিয়ার পাড়া ও তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের মধুরামপুর চিকলী পাড়ার প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের যোগাযোগ মাধ্যম নেই বললেই চলে।

বিভিন্ন পরিবহনসহ সাধারণ মানুষ অন্যের ফসল, অন্যের উঠান ও কবরস্থানের উপর দিয়ে চলাচল করছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারাগঞ্জ থানা সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক স্থানে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য লিখিতভাবে আবেদন জানান।

দীর্ঘ দুই বছর ধরে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রতি সুনজর না দেওয়ায় মধুরামপুর চিকলী পাড়ার প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হামিদ সরকার, হাজী মো. আতাউর রহমান, আব্দুর রহমান, আ. জব্বার, জহুরুদ্দিন, রফিকুল মাস্টার, শফিকুল ইসলাম জানান, অতিসত্তর এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাগবে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় প্রশাসনের সুনজর একান্ত দরকার।