বাঁশের তৈরি বিভিন্ন উপকরণকে জীবিকার প্রধান বাহক হিসেবে আঁকড়ে রেখেছেন মধুখালীর গুটি কয়েক পরিবার। এই বাঁশই বর্তমানে তাদের জীবিকার প্রধান বাহক। কিন্তু দিন দিন বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা।
মধুখালী উপজেলা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশশিল্প। বর্তমানে স্বল্পদামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় কুটিরশিল্পের চাহিদা এখন আর তেমন নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ। এখন আর আগের মতো বাড়ির আশপাশে বাঁশের ঝোপ রাখছেন না কেউ। সেগুলো কেটে বিভিন্ন চাঁষাবাদসহ বাসাবাড়ির বিল্ডিং তৈরি করছে গাঁয়ের মানুষ। তাই কাঁচামাল আর আগের মতো সহজেই পাওয়া যায় না।
পৌর বাজারে বাঁশের তৈরি পণ্য বিক্রি করতে আসা মো. হান্নান বিশ্বাস বলেন, শিল্পের দুর্দিনে হাতেগোনা কিছুসংখ্যক পরিবার শিল্পটিকে আঁকড়ে ধরে আছেন। অনেকে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় গেলেও পূর্বপুরুষের হাতেখড়ি এই পেশাকে কিছুতেই ছাড়তে পারেননি তারা। তাছাড়া বর্তমানে কাঁচামালের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের তৈরি পণ্যের দামও বেশি নিতে হয়। প্রতি হাটে যা বিক্রি করি, তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর।
কৃষক সালাম খান জানান, চরের উর্বর মাটিতে বাদাম চাষ ভালো হয়। মৌসুমের শুরুতে তারা বীজ বপন করেন। এছাড়া তেমন কোনো খরচ নাই। ভালোভাবে পরিচর্যা ও কীটনাশক দিলে বিঘায় ১২ মণ পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম শহীদ নুর আকবর বলেন, এবার বিনা মূল্যে কৃষকদের মাঝে জেলায় ১২ টন বাদামের বীজ দিয়া হয়েছে।
এ জেলায় বিনা চিনা বাদাম ৪ ও ১০ এবং বাড়ি চিনা বাদাম ৮ চাষ বেশি হয়। ফলনও ভালো হয়। বাদামের দাম ভালো হওয়ায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭৫ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৫০ হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছে ১ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে।