⚫ সাজ্জাদ হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি,ফরিদপুরঃ

বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন। কনের বাড়িতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়াও শেষ করেছেন বরযাত্রীরা। বাকী শুধু বিয়ে পড়ানোর। কিন্তু এর মধ্যেই কনের বাড়িতে হাজির ভ্রাম্যমাণ আদালত। কনের বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাই কনে ছাড়াই বরকে বিদায় নিতে হয়েছে মুচলেকা দিয়ে।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই গ্রামের একটি বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বিয়ে ঠিক হয় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চর পাঙ্গাশিয়া গ্রামের বর মাইনুল মোল্লা ‘র (৩৫) সঙ্গে।

তবে কনের বয়স ১৮ না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানজিলা কবির এ বিয়ে বন্ধ করে দেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।

১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরীর বিয়ে আয়োজন করবে না মর্মে বর মাইনুল মোল্লা, বরের অভিবাবক মো. কোহিনূর হোসেন ও মেয়ের বাবা মান্নান মিয়ার কাছ থেকে মুচলেকা নেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ বিষয়ে ইউএনও তানজিলা কবির বলেন,“কিশোরীর বাবা স্ট্রোকজনিত কারণে শয্যাশায়ী। ফলে আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করে ওই এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শাস্তি না দিয়ে উভয় পক্ষের মুচলেকা রেখে সর্তক করে দেন। এ বিষয়টি দেখভাল করার জন্য ওই এলাকার বাসিন্দা এক প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”