⚫ সাজ্জাদ, নিজস্ব প্রতিনিধি,ফরিদপুরঃ

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপার জোর তৎপরতায় মঙ্গলবার দুপুরে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ড থেকে গ্রামবাসী রক্ষা পেয়েছেন বলে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। উপজেলা সদরে বালিয়া ডাঙ্গী (মুসলিম) গ্রামের বেড়িবাঁধ সড়ক ঘেষে মৃত আজম ঠাকুরের ছেলে জৈনদ্দিন ঠাকুরের বসতবাড়ী ঘেষে পলের গাদায় আকস্মিক অগ্নিকান্ড ঘটে।

এলাকাবাসী পলের গাদার আগুন নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে অগ্নিকান্ডর ঘটনা মুঠোফোনে ইউএনওকে অবগত করান। খবর শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে গিয়ে চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস দলকে আগুন নিয়ন্ত্রনের কাজে লাগান এবং এলাকাবাসীকে সহায়তা করার নির্দেশ দেন। এতে মাত্র আধা ঘন্টার ব্যবধানে উক্ত গ্রামটি ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

উক্ত এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ বাবুল মোল্যা জানান, “উপজেলা সদরে পদ্মা পারে বেড়িবাঁধ সড়কের দু’পাশ ঘিরে ঘটনাস্থলটি অত্যান্ত ঘনবসতি এলাকা। চলতি শুস্ক মৌসুমের ভর দুপুরে উক্ত গ্রামের পলের গাদায় যেভাবে অগ্নিকান্ড ঘটেছিল তা দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনেত না পারলে জান ও মালের ক্ষতির পরিমান ভয়াবহ হতে পারতো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা নেওয়ার কারনে ফায়ার সার্ভিস দলকে দ্রুত কাজে লাগানো সম্ভব হয়েছে এবং ইউএনও মহোদয়ের উৎসাহ উদ্দীপনায় এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রনে ঝাঁপিয়ে পড়পিয় বলেই গ্রামটি আকস্মিক এক অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পেয়েছে। তিনি ইউএনও’র উপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন”। 

অগ্নিকান্ডের শিকার গৃহকর্তা জৈনদ্দিন ঠাকুর জানায়, “আমরা প্রাথমিকভাবে অনেক চেষ্টা করেও পলের গাদার আগুন নিয়ন্ত্রন করতে পারি নাই। পরে ইউএনও স্যারকে ফোন করেছি। তিনি মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যাবধানে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনের যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন, এতে আমাদের জান ও মালের অনেক উপকার হয়েছে”।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, “অগ্নিকান্ডর খবর শুনামাত্র আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি এবং ফায়ার সার্ভিস দলকে দ্রুত কাজে লাগাতে স্বক্ষম হয়েছি বলেই ভয়াবহ অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন গ্রামবাসী”।