⚫ সাজ্জাদ হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি,ফরিদপুরঃ
ভাষানচর গ্রাম সদরপুর উপজেলা থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গ্রামটিকে চারিদিকে সবুজ বৃক্ষরাজি ঘিরে ধরেছে। এর সামনে সুবিশাল ফসলের মাঠে দক্ষিনা হাওয়া দোল খাচ্ছে। মাঠে মাঠে কিষাণ-কৃষাণীর সোনার ফসল তোলার ব্যস্ততা দেখেই মন ভরে যায় ভালো লাগার মুগ্ধতায়।
বাঙ্গি একটি গ্রীষ্ম কালিন ফসল। এছাড়াও শীতের দুই মাস বাদে সারা প্রায় বছরই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে এর চাষ করা হয়।
সদরপুরে, শুষ্ক, উষ্ণ জলবায়ু এবং উর্বর দো-আঁশ ও পলিমাটি থাকায় এ অঞ্চলে দেশের সিংহভাগ বাঙ্গি উৎপাদন হয়ে থাকে। ইদানীং বাঙ্গির পাশাপাশি লালমি নামের আরেকটি ফল সদরপুরে প্রচুর চাষ করা হয়ে থাকে । এই দুটি ফল একই শ্রেণিভূক্ত হলেও স্বাদে গন্ধে বাঙ্গির চেয়ে লালমি অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।
মাঘ মাসের শেষের দিকে চাষ ও মই দিয়ে জমি প্রস্তুত করে বীজ বপন করা হয়। সাড়ে ৫ ফুট অন্তর অন্তর দেড় ফুট চওড়া মাটির তাওয়া প্রস্তুত করে তাওয়া প্রতি ৫/৬ টি করে বীজ মাটিতে পুতে দেওয়া হয়। চারা গজানোর কিছুদিন পর তাওয়া প্রতি ২/৩ টি করে সুস্থ চারা রেখে বাকী গুলো তুলে ফেলতে হয়।
গেলো সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ৬০০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির চাষ করা হলেও চলতি বছরে প্রায় ৮৯১ হেক্টর জমিতে এর চাষ করা হয়েছে।
জানাজায় প্রায় দেড় দশক আগে সদরপুরের জনৈক কৃষকের হাত ধরে লালমি চাষের গোড়াপত্তন হয়। প্রথম বছরেই লালমি চাষে অভাবনীয় সাফল্যের মুখ দেখতে পেলে এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে সদরপুর ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাঙ্গির পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে লালমির চাষ করা হয়। এ ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে রস থাকায় সাধারণত জুস তৈরিতে এর জুড়ি-মেলা ভার। বিশেষ করে পুরো রমজান মাসের ইফতারিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী এ ফলের জুস রোজাদারদের তৃষ্ণা মেটাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে।
সদরপুর ছাড়াও নগরকান্দা, সালথা, ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও বোয়ালমারিতেও বাঙ্গির চাষ করা হয়।
প্রতি বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।
এবছর অনাবৃষ্টি দেখা দেওয়ার খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে । ক্ষেতে পাম্পের সাহায্যে সেচ দেওয়া ছাড়াও সার, কীটনাশক বাবদ খরচ এর অন্যতম কারণ।
সদরপুরে কাটাখালি বেইলি ব্রীজের উত্তর পাশে বিশাল এলাকা জুড়ে বাঙ্গির হাট বসানো হয়েছে। প্রতিবছর রমজানের শুরুতে এই হাটের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এলাকার চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করার জন্য এ হাটে এসে থাকেন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পরেও প্রতিদিন শত শত ট্রাক বাঙ্গি দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হয়। সাধারণত ঢাকা, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লায় এ ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
আকার ও প্রকারভেদে এক'শো বাঙ্গি ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পাইকারি দরে বিক্রয় হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় জানান, "চলতি বছরে প্রায় ৮৯১ হেক্টর জমিতে লালমি ও বাঙ্গির চাষ করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবছর লালমি ও বাঙ্গির মূল্য ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছে চাষীরা।"
বাঙ্গি একটি গ্রীষ্ম কালিন ফসল। এছাড়াও শীতের দুই মাস বাদে সারা প্রায় বছরই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে এর চাষ করা হয়।
সদরপুরে, শুষ্ক, উষ্ণ জলবায়ু এবং উর্বর দো-আঁশ ও পলিমাটি থাকায় এ অঞ্চলে দেশের সিংহভাগ বাঙ্গি উৎপাদন হয়ে থাকে। ইদানীং বাঙ্গির পাশাপাশি লালমি নামের আরেকটি ফল সদরপুরে প্রচুর চাষ করা হয়ে থাকে । এই দুটি ফল একই শ্রেণিভূক্ত হলেও স্বাদে গন্ধে বাঙ্গির চেয়ে লালমি অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।
মাঘ মাসের শেষের দিকে চাষ ও মই দিয়ে জমি প্রস্তুত করে বীজ বপন করা হয়। সাড়ে ৫ ফুট অন্তর অন্তর দেড় ফুট চওড়া মাটির তাওয়া প্রস্তুত করে তাওয়া প্রতি ৫/৬ টি করে বীজ মাটিতে পুতে দেওয়া হয়। চারা গজানোর কিছুদিন পর তাওয়া প্রতি ২/৩ টি করে সুস্থ চারা রেখে বাকী গুলো তুলে ফেলতে হয়।
গেলো সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ৬০০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির চাষ করা হলেও চলতি বছরে প্রায় ৮৯১ হেক্টর জমিতে এর চাষ করা হয়েছে।
জানাজায় প্রায় দেড় দশক আগে সদরপুরের জনৈক কৃষকের হাত ধরে লালমি চাষের গোড়াপত্তন হয়। প্রথম বছরেই লালমি চাষে অভাবনীয় সাফল্যের মুখ দেখতে পেলে এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে সদরপুর ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাঙ্গির পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে লালমির চাষ করা হয়। এ ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে রস থাকায় সাধারণত জুস তৈরিতে এর জুড়ি-মেলা ভার। বিশেষ করে পুরো রমজান মাসের ইফতারিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী এ ফলের জুস রোজাদারদের তৃষ্ণা মেটাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে।
সদরপুর ছাড়াও নগরকান্দা, সালথা, ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও বোয়ালমারিতেও বাঙ্গির চাষ করা হয়।
প্রতি বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।
এবছর অনাবৃষ্টি দেখা দেওয়ার খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে । ক্ষেতে পাম্পের সাহায্যে সেচ দেওয়া ছাড়াও সার, কীটনাশক বাবদ খরচ এর অন্যতম কারণ।
সদরপুরে কাটাখালি বেইলি ব্রীজের উত্তর পাশে বিশাল এলাকা জুড়ে বাঙ্গির হাট বসানো হয়েছে। প্রতিবছর রমজানের শুরুতে এই হাটের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এলাকার চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করার জন্য এ হাটে এসে থাকেন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পরেও প্রতিদিন শত শত ট্রাক বাঙ্গি দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হয়। সাধারণত ঢাকা, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লায় এ ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
আকার ও প্রকারভেদে এক'শো বাঙ্গি ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পাইকারি দরে বিক্রয় হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় জানান, "চলতি বছরে প্রায় ৮৯১ হেক্টর জমিতে লালমি ও বাঙ্গির চাষ করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবছর লালমি ও বাঙ্গির মূল্য ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছে চাষীরা।"