‘এটাই ক্লাবের মাহাত্ম্য। এটা এমন একটি ক্লাব, যখন সব শেষ বলে মনে হয় তখন আপনাকে হাল ছেড়ে দেয়ার অনুমতি দেয় না। আপনাকে চালিয়ে যাওয়ার, লড়াই করার এবং বিশ্বাসের শক্তি দেয়। আমরা এটাই করেছি।’

ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয়ে ফাইনালে যাওয়ার পর এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানান রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

ম্যানচেস্টার সিটির কাছে প্রথম লেগে হারার পর বার্নাব্যুর জাদুতেই চমক দেখানোর কথা বলেছিলেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি এবং দলের তারকা খেলোয়াড় করিম বেনজেমা। যে কথা, সে কাজ। নিজেদের মাঠে প্রত্যাবর্তনের রূপকথা লিখে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পা রাখল রিয়াল মাদ্রিদ।

শুরুর দিকেই এগিয়ে থাকতে পারতো রিয়াল। তবে দানি কার্ভাহেলের উঁচু ক্রসে করিম বেনজেমা হেড নিলে তা চলে যায় বারের ওপরে। এরপর ১২ মিনিটে আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

এরপর টানা বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে সিটি। কেভিন ডি ব্রুইন, বানার্দো সিলভা, গ্যাব্রিয়েল হেসুসরা গোল বানাতে পারেননি। ৩৯ মিনিটে ফিল ফোডেনের অনেক দূর থেকে নেওয়া জোরালো শটে সিটি এগিয়ে যেতে পারতো। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা নস্যাৎ করেন রিয়াল গোলরক্ষক কর্তোয়া।

দ্বিতীয়ার্ধেও চলতে থাকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। অবশেষে ৭৩ মিনিটের মাথায় গোল করে সিটি। বার্নাদো সিলভা বল বক্সের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারালেও সেটা পেয়ে যান ডানদিকে ছুটে যাওয়া রিয়াদ মাহরেজ। চোখের পলকে তা জালে জড়িয়ে দেন তিনি।

ম্যাচের তখন ৮৯ মিনিট। সিটির জয় যখন সময়ের ব্যাপার, এমন মুহূর্তে ১ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে রিয়ালকে অবিশ্বাস্যভাবে লড়াইয়ে ফেরান রদ্রিগো।


দুই লেগ মিলিয়ে দুই দলের সমান গোল হওয়ায় ২-১ গোল এগিয়ে থাকার পরও খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে বেনজেমা পেনাল্টিতে রিয়ালকে ফাইনালে তোলা গোলটি করেন বেনজেমা।

আগামী ২৯ মে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। ২০১৮ সালে শেষবারের ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়েই উৎসব করেছিল তারা।