সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল রাত থেকে মূল সড়কের পানি কিছুটা নামলেও পৌরশহরের সবখানে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি রয়েছে। মানুষ গত পাঁচদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন।
অন্যদিকে উজানের পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৯টি উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের প্রায় সোয়া দুই লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
নেত্রকোণার দুর্গাপুর, কলমাকান্দায় বন্যার পানি কিছুটা কমলেও অন্য আট উপজেলায় বাড়ছে। আর খালিয়াজুরিতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। জেলাটির ১০ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। এরমধ্যে সোয়া লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।