চামড়া নিয়ে কোন আশা দেখছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। আগে কুরবানি ঈদকে নিয়ে গড়ে উঠত মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এখন তা তো খুঁজে পাওয়া যায় না উল্টো চামড়া ব্যবসায়ীদেরও খুঁজতে হয় বিক্রেতাদের।
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঈদের দিন চামড়া রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ পরিস্থিতিতে মাদ্রাসার ছাত্রদেরও খুঁজে পাওয়া যায় না চামড়া দেওয়ার জন্য।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার মোকাম কুষ্টিয়ায় কোরবানির চামড়ার ভালো দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা এসে ফুটের হিসাবে দাম দিচ্ছে না।
খুলনায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে চরম হতাশা বিরাজ করছে। ভালো দাম পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে বাজারে চামড়া এনে দাম শুনে অবাক হচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। এক লাখ টাকা মূল্যের গরুর চামড়ার দাম ৩০০ টাকাও উঠছে না। চামড়ায় কাটা-ছেঁড়া আছে- এমন অজুহাতে বাদের তালিকায় ফেলে দাম কমিয়ে দিচ্ছেন পাইকাররা। এ নিয়ে পাইকারদের সঙ্গে খুচরা বিক্রেতাদের বাগবিতণ্ডাও হচ্ছে। এ অবস্থায় খুলনায় চামড়া ১০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে কেনা-বেচা হতে দেখা গেছে।