ভালবাসা কোনো বাঁধা মানে না। যে কোন বয়সের যে কেউ প্রেমে পড়তে পারেন। বয়সের পার্থক্য প্রেমের ক্ষেত্রে কেবল একটা সংখ্যা মাত্র। চলচ্চিত্র পাড়াতেও প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলের অসম বয়স থাকা সত্ত্বেও সমালোচকদের সমালোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন অনেকেই।
এরকম রেকর্ড অনেক আছে। শিক্ষিকা বিয়ে করেছে ছাত্রকে। এমন ঘটনার কথা শোনা গেছে ইতোপূর্বে। এবার শিক্ষিকা ও ছাত্রের অসম বয়সের প্রেম ও বিবাহের এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায়। ৪০ বছর বয়সী অধ্যাপিকা খাইরুন নাহার কাজী অফিসে গিয়ে ২২ বছর বয়সী ছাত্র মামুনকে বিবাহ করেন।
তবে তাদের বিয়ের ঘটনা দীর্ঘদিন গোপন থাকার পর ৩/৪ দিন আগে জানাজানি হওয়ায় এলাকায় হইচই পড়ে গেছে। শিক্ষিকা খাইরুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়ী খুবজী পুর গ্রামে।
অন্যদিকে মামুনের বাড়ী একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। সে নাটোর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
খাইরুন নাহার জানান, প্রথম স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার পর মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন তিনি। একাকীত্ত্ব, হতাশায় আত্মহত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ঠিক সেই সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সাথে। মামুন তার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছেন এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায়। মামুন মন প্রাণ দিয়ে তাকে ভালবাসে। আর সেই ভালবাসা থেকেই দুজনের সিদ্ধান্তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।