কান্না করতে করতে মা নাজমা ইসলাম বলেন, আমার মেয়েটাকে ভিক্ষা চাই। আমার মেয়েটাকে ফিরে পেতে চাই। আমি চাই, সে আমাকে নিয়ে বাঁচুক।
গত ২৩ জুন মায়ের সঙ্গে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে মডেল টেস্ট দিতে যান ইয়াশা মৃধা সুকন্যা। পরীক্ষা শেষে অন্য শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এলেও মেয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না মা নাজমা ইসলাম। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, পরীক্ষা দেয়নি সুকন্যা। নিজের কাছে থাকা মেয়ের মুঠোফোন পরখ করে মা দেখেন আহসাননুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ চিশতীর সঙ্গে দেখা করার পূর্ব পরিকল্পনা ছিল সুকন্যার।
এ তথ্যের সূত্র ধরে পরদিন ইশতিয়াককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজধানী গেন্ডারিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সুকন্যাকে নিয়ে ঘোরাঘুরির কথা বললেও ২৩ জুন রাতে সুকন্যাকে বাসার উদ্দেশে রিকশায় তুলে দেয়ার দাবি করেন ইশতিয়াক। পুলিশের উদ্ধার করা সিসিটিভি ফুটেজে ২৩ জুন সন্ধা ৭টা ৭ মিনিটে রাজধানী গেন্ডারিয়ায় সুকন্যাকে একই রিকশায় ইশতিয়াকের সঙ্গে দেখা যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে রাত ৮টা ৫ মিনিটে দুজনকে দেখা যায় আলাদা দুটি রিকশায়। সুকন্যার রিকশার পিছু নিয়েছেন ইশতিয়াক আহমেদ চিশতী। মা নাজমা ইসলাম জানান, পুলিশ তাকে জানিয়েছেন, সুকন্যার উধাও হওয়া সম্পর্কে ইশতিয়াকের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি। তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনিও ইসতিয়াকের কাছে সুকন্যার বিষয়ে জানতে চান। মেয়েকে কারও হাতে তুলে দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে মাথা নিচু করে নিরুত্তর থেকেছেন ইসতিয়াক।
মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। তদন্তে দেখা গেছে ঘটনার মাস তিনেক আগে ফেইসবুকে ইসতিয়াক আহম্মেদ চিশতী নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় সুকন্যার। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়।ঘটনার দিন কলেজ থেকে বের হয়ে ওই ইসতিয়াকের সঙ্গেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরেছে সে।’
মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির রমনা বিভাগের এসআই মো. সালাউদ্দিন কাদের বলেন, ‘ইসতিয়াককে দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে সুকন্যা কোথায় গেছে বা আছে সে তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমরাও অনেকটা অবাক হচ্ছি মেয়েটা কোথায় গেল। কেন তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা সম্ভাব্য সকল বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।’
অন্যদিকে মেয়েকে ফিরে পেতে শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সুকন্যার মা নাজমা ইসলাম লাকী। তিনি বলেন বলেন, ‘১৮ বছরের একটা মেয়ে গত দুই মাস ধরে গায়েব রয়েছে অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি সবার কাছে গিয়েছি। কিন্তু কেউ আমার মেয়েকে খুঁজে দিচ্ছে না। ডিবি সর্বশেষ বলেছে, ‘আমার মেয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ।’ তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার একমাত্র মেয়েকে ছাড়া আমি কীভাবে বাঁচব। ওর বাবা জন্মের পর থেকে লন্ডনে রয়েছে। একবারের জন্যও দেশে আসে নাই। আমি তিল তিল করে ওকে মানুষ করেছি। আমি আমার মেয়েকে জীবিত ফিরে পেতে চাই।’
অন্যদিকে মেয়েকে ফিরে পেতে শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সুকন্যার মা নাজমা ইসলাম লাকী। তিনি বলেন বলেন, ‘১৮ বছরের একটা মেয়ে গত দুই মাস ধরে গায়েব রয়েছে অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি সবার কাছে গিয়েছি। কিন্তু কেউ আমার মেয়েকে খুঁজে দিচ্ছে না। ডিবি সর্বশেষ বলেছে, ‘আমার মেয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ।’ তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার একমাত্র মেয়েকে ছাড়া আমি কীভাবে বাঁচব। ওর বাবা জন্মের পর থেকে লন্ডনে রয়েছে। একবারের জন্যও দেশে আসে নাই। আমি তিল তিল করে ওকে মানুষ করেছি। আমি আমার মেয়েকে জীবিত ফিরে পেতে চাই।’