মডেলসৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি  ও শাফাকাত হোসেন পিয়ালের পরিবারে ছিল শিশু কন্যা। ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। এরই মধ্যে তিন্নির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে গড়ে ওঠা এমন সম্পর্কের একপর্যায়ে অভির পরামর্শে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তিন্নি-পিয়ালের দাম্পত্য জীবন।

মেয়েকেসহ স্বামীকেও বের করে দেন ঘর থেকে।কিন্তু, অভি তখনও সেই বিয়ের আশ্বাসকে বাস্তবায়ন করেননি। পরে মিডিয়ায় তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলে হুমকি দিলে প্রাণ হারাতে হয় তিন্নিকে।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার পোস্তগোলার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর (বুড়িগঙ্গা সেতুর) নিচে অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ পায় পুলিশ। ১৫ নভেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকায় বেওয়ারিশ মরদেহের ছবি প্রকাশ করে পুলিশ। ছবি প্রকাশের পর তিন্নির স্বজনরা মরদেহটি তিন্নির বলে শনাক্ত করেন। যদিও এর আগেই তাঁকে জুরাইন কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। আর ১১ নভেম্বর রাজধানীর কেরাণীগঞ্জ থানায় সে সময়ের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. শফিউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন।

ওই মামলায় প্রথমে তিন্নির স্বামী শাফাকাত হোসেন পিয়াল, এবায়দুল্লাহ ওরফে স্বপন গাজী ও গাজী শরিফ উল্লাহ ওরফে তপন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে প্রধান আসামির নাম। জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এরপর একপর্যায়ে কানাডায় উড়াল দেন অভি। আলোচিত এই মামলাটি ২০ বছর পার করলেও রায়ের মুখ দেখেনি।