
লাল-সাদা রঙের একটি পুতুল। তবে পুতুলজুড়ে অসংখ্য সুই। গুনে দেখা গেলো ১০১টি সুই এতে বিদ্ধ করা আছে। পুতুলটি পড়ে ছিল বাড়ির উঠানে। এমনই ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকার মৃত মাজেদুল ইসলামের বাড়িতে। এ ঘটনায় ওই বাড়িতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রতিবেশীরা এসে বিষয়টি লক্ষ্য করে নানান মন্তব্য করতে থাকেন। কেউ কেউ বলেন, পরিবারের সদস্যদের জাদুটোনা করার জন্য এ কাজ করা হয়ে থাকতে পারে। প্রতিবেশীদের কথা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পরিবারটি।
বাড়ির বাসিন্দা মর্জিনা বেগম (৩৬) জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হই। পরে বাড়ি এসে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি করছিলাম। এ সময় হঠাৎ আমার মেয়ের চোখে পড়ে পুতুলটি। সে পুতুলটি তুলতে গিয়ে দেখে পুতুলের সারা শরীরে সুঁই ফোটানে। পরে আমার ভাইকে ও প্রতিবেশীদের খবর দেই।
তিনি আরও জানান, আমাদের কারো সঙ্গে কোনো ঝগড়া-বিবাদ নাই। কেন মানুষ এমনটা করল, এটা নিয়ে আমরা সবাই দুশ্চিন্তায় আছি।
এ বিষয়ে ভোগডাঙা সরদারপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শাহাজাহান আলী বলেন, ‘জাদুটোনা করার উদ্দেশ্যে কেউ করেছে কি না, এটা না দেখলে বোঝা যাবে না। কেননা পুতুলটির গায়ে কারো নাম লেখা থাকলে এটা কালো জাদুর মধ্যে পড়ে। হাদিসে জাদুটোনার বিষয়টি উল্লেখ আছে।’
তবে কুড়িগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এস এম আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতারণা করার জন্য কিছু মানুষ এ ধরনের কাজ করে আসছেন, যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এটা করে ভিকটিমকে ধারণা দেওয়া হয়, এই সুই পুতুলের শরীরে ফোটালে শত্রুর শরীরে গিয়ে আঘাত লাগবে। যাকে স্থানীয়ভাবে ‘কালো জাদু’ কিংবা ‘বান মারা’ বলা হয়ে থাকে; যার আদৌ কোনো সত্যতা নেই।