বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ ও লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সোমবার 
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, আওয়ামী লীগের অফিস ও এমপি-মন্ত্রী-নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধের পর হামলা ভাঙচুর এবং আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে থানা ভবন। জনরোশে পড়ার করুণ মুহুর্তেও আটকে পড়া পুলিশ সদস্যদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি পুলিশ সদর দফতর বা অন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার আগে আটকে পড়া পুলিশের এলোপাতারি গুলিতে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবন এবং রাউজানের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাসভবনে গতকাল হামলার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া নগরের কোতোয়ালি, ইপিজেড, সদরঘাট, চান্দগাঁও, বন্দর, পতেঙ্গা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি ও ইপিজেড থানায় ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

বিকেল ৫টার দিকে বাড্ডা, খিলক্ষেত, ভাটারা থানাও চতুর্দিক থেকে আন্দোলনকারীরা ঘিরে রাখে। থানায় আটকে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। আন্দোলনকারীরাও বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে ইটপাটকেল ছুড়ছেন। পরে আগুন দেয়া হয় থানায়। লুট করে নেয়া হয় অস্ত্রও।

প্রায় একইভাবে পল্টন থানা ঘেরাও করে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। পাল্টা প্রতিরোধ করেও টিকতে পারেনি ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা। সন্ধায় হামলার শিকার হয় উত্তরা পূর্ব থানা। হামলা ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে ক্ষোভ জানায় জনতা। উত্তেজিত জনতার আক্রোশে পড়েছে মিরপুর মডেল থানাসহ আরও কয়েকটি থানা।