গৃহায়ণ কতৃপক্ষের  উপ -পরিচালক কুদ্দুস আলী  সরকারের দুর্নীতি

বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রনালয়ে কর্মরত থাকা কালিন সময়ে মসজিদ, মন্দিরের, নামে বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যায় এই কুদ্দুস আলী সরকার। যাহা ধর্ম মন্ত্রনালয়ের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়।

এই প্রতিবেদক কে নরসিংদির একাধিক ব্যাক্তি জানায় কুদ্দুস আলী সরকার বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর সমর্থক ও অর্থযোগান দাতা কিন্তু সকলের কাছে সে বলেবেরায় যে এক সময় সে ছাত্রলীগ করতো । তবে সে জামাতে ইসলামীর মতাদর্শে বিশ্বাসী । বিগত ১৮ জুলাই ২০২৪ ইংরেজি তারিখে মোঃ নাসির উদ্দিন গণমাধ্যম কর্মী এই মোঃ কুদ্দুস আলী সরকারের ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদুক) এবং ২৫ জুলাই ২০২৪ ইংরেজি তারিখে গৃহায়ন ও গনপুর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব ও মন্ত্রী বরাবরে অভিযোগ দ্বয়ের করে। ঐ অভিযোগের কপি সংবাদ প্রকাশের জন্য দিলে অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধান করতে থাকে এ প্রতিবেদক।

অনুসন্ধানে এ প্রতিবেদক মোঃ কুদ্দুস আলী সরকারের বর্তমান কর্মস্হল জাতীয় গৃহায়ণ কতৃপক্ষ (গৃহায়ণ ভবন) প্রধান কার্য্যালয় সেগুনবাগিচায় যায় এবং গোপনে তার অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে জানতে পারে এই কর্মকর্তা যোগদানের পরেই একটি দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের সাথে মিলে গিয়ে ঘুষ,দুর্নীতি, অনিয়মের রাম রাজত্ব কায়েম করে এবং ঐ সিন্ডিকেটের হয়ে ভূমি শাখায় কর্মরত আওয়ামী পন্থী অফিস সহকারীদের সরানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে পরে। কয়েক মাস পূর্বে দূর্নীতি অনিয়ম ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের দ্বায়ে দুদুকের হাতে গ্রেফতার হওয়া সি,বি,এ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এর অনুসারী উপ পরিচালক (অর্থ) শাখায় কর্মরত আলমগীর হোসেন মোল্লা গংদের সাথে আতাত করে বেশ কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে এই দুর্নীতিবাজ কর্কর্তা তার একই এলাকার এই দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকার সুযোগ নিয়ে তার সাথে আতাত করে একই দিনে ভূমি শাখার অফিস সহকারীদের ( আওয়ামী পন্থী) দেশের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করে দেয়।

বর্তমানে ভূমি শাখা এই কর্মকর্তা বি, এন,পি সরকারের গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের সময়ে ৭১ জন বিএনপি জামাত অনুসারীদের নিয়োগ দিয়েছিলো তাদের কে বর্তমানে গৃহায়ন প্রধান কার্য্যালয়ে ভূমি শাখা সহ বিভিন্ন শাখায় নিয়োগ দিয়ে আওয়ামীলীগ পন্হী মূক্ত করে এই কর্মকর্তা।

এ প্রতিবেদক জানতে পারে অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করে সরকারের ৩,৫০ কাঠা ভুমি মহম্মদ পুর ঢাকার এক ব্যাক্তির নিকট থকে মাত্র ৫০( পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে খন্ড জমি হিসেবে বরাদ্দ দেয় যাহা আইন পরিপন্থী।এ প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে মিরপুর সেকশন - ২, ব্লক - ডি, রোড নং- ২, প্লট নং -৯, মিরপুর মডেল থানা এই প্লটের মূল মালিক নুর ভানুর বাবার নামে প্রথম এলোটমেন্ট দেয় সরকার সেই থেকে এই প্লটে তারা বসবাস করে আসিতেছিলো। তবে এই মোঃ কুদ্দুস আলী সরকার উপ পরিচালক (সদস্য) ভূমি ও সম্পত্তি ব্যাবস্হাপনা সে কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে একটি ভুমি দস্যু গ্রুপের ( ইউসুফ সাঈদ বাহিনীর) মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নামে বিকল্প প্লট হিসেবে কাগজ পত্র করে দেয় এবং জুলাই ২০২৪ ইংরেজি মাসে রাত আনুমানিক ২-৩০ ঘটিকার সময় অশ্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি থেকে সকল কে বের করে দিয়ে রফিকুল ইসলামের সন্ত্রাসী বাহিনী দখলে যায় প্লট টি। এ বিষয়ে নুরভানুর পক্ষে মিরপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে ও কোনো বিচার পায়নি বলে নুরভানুর ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয় এ প্রতিবেদক কে জানায়। এ প্রতিবেদক মিরপুর মডেল থানায় কর্মরত এস,আই, মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাও সত্যি তবে বিবাদীদের কোনো হদিস পাচ্ছি না। এ প্রতিবেদক প্রশ্ন করে তবে এফআইআর করেন নি কেনো এর জবাবে সে জনায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) সাহেব বলতে পারবেন।

এই প্রতিবেদক তার গোপন অনুসন্ধানকালে এক কর্মকর্তার নিকট জানতে চায় সরকারী প্রশিক্ষনের সময় সদস্য কুদ্দুস আলী সরকার ই,এম ডিভিশন হইতে বিদেশ সফর করেছে কিনা? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ কর্মকর্তা জানায় সে বিদেশ সফর করেছে তবে ই,এম, ডিভিশন হইতে বিদেশ সফর করা যায় কিনা আমার জানা নাই। এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান নরসিংদী একই এলাকার লোক।

এ প্রতিবেদক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর সাথে স্বাক্ষাৎ করার পরে এই কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে গেলে সে স্বাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি স্বাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করে। এ প্রতিবেদক জানতে পারে বিভিন্ন সূত্রে যে কুদ্দুস আলী সরকার দেশে অস্হীতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে জামাত বিএনপি নরসিংদীর নেতা কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থ যোগান দেয়। এ বিষয়ে ডি,এম,পি,পুলিশ, কমিশনার বরাবরে একটি অভিযোগ রয়েছে। এই কর্মকর্তা ঢাকা, নরসিংদীতে শত শত কোটি টাকার সম্পদ বাড়ি,গাড়ী ফ্ল্যাট, প্লট, নিজ নামে ও স্ত্রী শন্তানদের নামে ক্রয় করেছে বলে একাধিক সূত্র জানায় এ প্রতিবেদক কে। তার স্ত্রী শন্তানদের নামে বেনামে বেশ কয়েকটি ব্যাংকে লক্ষ লক্ষ টাকার এফডিআর( সঞ্চয়পত্র) রয়েছে বলে জানতে পারে।

এর সত্যতা অনুসন্ধানের স্বার্থে এ প্রতিবেদক ২৮ জুলাই ২০২৪ ইংরেজি তারিখে জাতীয় গৃহায়ণ ভবনে তার কার্য্যালয়ে দৈনিক গনতদন্ত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক আলোকিত পত্রিকার রিপোর্টার এবং দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও মিরপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এই কর্মকর্তার সাথে স্বাক্ষাৎ করে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে সে জানায় দুদুকের অভিযোগের বিষয় সে নিজে দেখবে এবং অনান্য অভিযোগ নিয়ে আমি কোনো স্বাক্ষাৎকার দিতে আপনাদের ইচ্ছুক না।

এ বিষয় আপনারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবের সাথে যোগাযোগ করুন স্টাফ রিপোর্টার হাসমত মিয়া এই কর্মকর্তাকে জানায় আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সাথে দেখা করে আসছি উত্তরে এই কর্মকর্তা জানায় তাতে আমার কি? সংবাদ কর্মীদের প্রশ্ন তবে এই কর্মকর্তার খুটির জোর কোথায়? এই কর্মকর্তা বলে আপনারা নিউজ করেন দেখি আমার কি করতে পারেন। কাজেই তাকে আইনের আওতায় আনা উচিৎ বলে সংবাদ কর্মীরা মনে করে।