বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন এক মাসের বেশি হলো। এরপর থেকে ভারতে অবস্থান করছেন তিনি। এই সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের তিক্ততার কোনও উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনার কারণে এমনিতেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে আছে দিল্লি।
এরমধ্যেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড মুহম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে হতবাক হয়ে গেছে ভারত সরকার। দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক এখন কী অবস্থায় আছে, তা বিশ্লেষণ করেছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সাংবাদিক আনবারাসান এথিরাজান।
শেখ হাসিনাকে ভারতপন্থি হিসেবে দেখা হয়। তার সময়ে অর্থনৈতিক সম্পর্কের দিক দিয়ে বেশ ভালো সময় পার করছে। এমনকি নিরাপত্তাগত দিক দিয়েও সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে। কেননা তিনি ভারতবিরোধী গোষ্ঠীকে কঠোর হাতে দমন ও সীমান্তের অমীমাংসিত কিছু বিষয় নিষ্পত্তি করেছেন। তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশের গভীর সম্পর্কের মধ্যে এক জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ড. ইউনূসের বার্তায় বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
গত সপ্তাহে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া অধ্যাপক ইউনূসের সাক্ষাৎকারে দুই দেশের সম্পর্কের এই শীতলতা আরও স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। সাক্ষাৎকারে দিল্লিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনাকে কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ তার প্রত্যাবর্তন চাওয়ার আগ পর্যন্ত যদি ভারত শেখ হাসিনাকে রাখতে চায়, তবে একটা শর্ত আছে। তাকে ( শেখ হাসিনা) চুপ থাকতে হবে।’
ভারতের সাবেক এক কূটনীতিক বলেন, মেগাফোন কূটনীতির মাধ্যমে ড. ইউনূস ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করছেন। তিনি অমীমাংসিত বিষয়গুলো মিডিয়ার সামনে আনার চেষ্টা করছেন।