আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের অপসারণের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও এবং বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ ও অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী আইনজীবী সমাজ। এছাড়াও ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারপতিদের অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি-লিগ্যাল উইং।
এদিকে, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় উচ্চ আদালতের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ দেয়া হচ্ছে না। এর মানে হচ্ছে, তারা বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন না। আর বিচারপতিদের পদত্যাগের যে দাবি, এ ক্ষেত্রে- বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি, আবার অপসারণও করেন রাষ্ট্রপতি। এখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির যা করণীয় তিনি তা করেছেন। আর ২০ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করবে। পর্যায়ক্রমে কী হয় সেটা জানা যাবে।
তারা হলেন- বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিন, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামান, বিচারপতি আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাছুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি আতাউর রহমান খান।