রাজধানীর উত্তরা এলাকায় প্রকাশ্যে দুইজনের ওপর রামদা নিয়ে হামলার ঘটনায় নাটকীয় মোড় তৈরি হয়েছে। শুরু থেকেই মেহবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি নামে দুজনকে দম্পতি বলা হলেও এখন শম্পা বেগম নামে এক নারী দাবি করেছেন, ওই পরিচয় সত্য নয়।
তারা দুজন সহকর্মী, বরং শম্পাই হলেন মেহবুলের প্রকৃত স্ত্রী।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিজের বাসায় কয়েকজন সাংবাদিককে ব্রিফিংকালে শম্পা এ দাবি করেন। তার ওই ব্রিফিং ফেসবুকসহ ডিজিটাল প্লাটফর্মে লাইভ প্রচার হয়। শম্পার ব্রিফিংয়ের সময় মেহবুল তাকে মোবাইল ফোনে কল করে স্ত্রী পরিচয় দেওয়ায় রাগারাগিও করেন।
তিনি বলেন, উত্তরাতে হামলার শিকার ওই ব্যক্তি আমার স্বামী। পাশে থাকা ওই নারীকে আমি চিনি না। তবে কিছুদিন ধরে বুঝেছি আমার স্বামী অন্য কারও সাথে কথা বলেন।
কারা হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই নারী জানান, কারা হামলা করেছে সেটা আমি জানি না। যেহেতু ওখানে আমি ছিলাম না, সেহেতু ওই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার স্বামীর সাথে কারও বিরোধের কথাও জানি না। কারণ উনি (স্বামী) আমার কাছে কোনো কিছুই শেয়ার করতেন না।
ওই নারীর সাথে আপনার স্বামীর বিয়ে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই নারীর সাথে কোনো বিয়ের ঘটনা ঘটেনি। আমার স্বামী গোপনে ওই নারীর সাথে যোগাযোগ করতেন। তবে ওই ঘটনার পর থেকে তারা নিজের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। ওই ঘটনা যখন আমি ফেসবুকে দেখেছি- সাথে সাথে তাকে কল দেই। কিন্তু তিনি কোনো রেসপন্স করেনি। পরে হাসাপাতালে গিয়ে তার সাথে আমার কথা হয়। উনি আমাকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন।