বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) বড় ধরনের পরিবর্তনের গুঞ্জন ঘুরপাক খাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদকে সরিয়ে তার স্থলে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বসানোর পরিকল্পনার কথা চাউর হয়েছে। তবে ক্রিকেট বোর্ডের গঠনগত দিক ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) নিয়ম অনুযায়ী, এই পরিবর্তন এতটা সহজ নয়—বরং এটি দেশীয় ক্রিকেটকে বড় ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সরাসরি ফারুক আহমেদকে ডেকে সরকারের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ফারুক নিজেই।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা কিন্তু আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি। শুধু বলেছেন, আমাকে আর তারা কন্টিনিউ করাতে চান না। বর্তমানে কী সিদ্ধান্ত নেবেন? এই প্রশ্নের জবাবে তার ভাষ্য, ‘এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। দেখা যাক, কী হয়।’
ফারুক আহমেদ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, “কোনো কারণ না জেনে আমি পদত্যাগ করব না।” তিনি বর্তমানে কেবল একটি এনএসসি (জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা) মনোনীত পরিচালক নন, বরং বিসিবির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ, বোর্ড পরিচালকদের ভোটে তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
আইসিসি কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক বা সরকারি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করে না। বোর্ড পরিচালনায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শর্ত।
২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসি তাদের সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে।
এর আগে জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া, নেপালসহ কয়েকটি দেশ একই কারণে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিল।
এই ধরনের হস্তক্ষেপ ঘটলে বাংলাদেশের ক্রিকেটও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়তে পারে, এমনকি অর্থনৈতিক ক্ষতিও হতে পারে।