শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তির বার্তা


আধুনিক সভ্যতা যতই এগিয়ে যাক না কেন, মানুষের মনে যদি শান্তি না থাকে — তাহলে সে উন্নতিও বৃথা। আর সেই চিরন্তন শান্তির উৎস হলো আল্লাহর বাণী, পবিত্র কুরআন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনাচার। আজ যখন চারদিকে হিংসা, হতাশা, যুদ্ধ ও অনৈতিকতার করাল গ্রাস; তখন একমাত্র আলোর পথ দেখায় ইসলাম — যার মূল বার্তাই হলো শান্তি, দয়া ও মানবতা।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন:

"নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যেখানে তারা স্থায়িভাবে অবস্থান করবে।"
— (সূরা আল-বায়িনাহ, আয়াত ৭)

এই আয়াত আমাদের আশ্বস্ত করে, ইমান ও সৎকর্মই মানুষের পরকাল ও ইহকালের শান্তির মূল চাবিকাঠি। ইসলাম কখনো শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং প্রতিটি আচরণে, প্রতিটি পদক্ষেপে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রচেষ্টা।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

"তোমরা দয়া প্রদর্শন করো, আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।"
— (তিরমিজি: 1924)

এই হাদিস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, একে অপরের প্রতি দয়ালু হওয়া শুধু একটি মানবিক গুণ নয়, বরং তা আল্লাহর রহমত পাওয়ার অন্যতম উপায়। সমাজে যদি আমরা পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি দেখাই, তাহলে হিংসা-বিদ্বেষের জায়গায় ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ব ফিরে আসবে।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ছিল এক চলমান কুরআন। তাঁর চরিত্র এমনই ছিল যে, তাঁর শত্রুরাও তার সততা ও দয়ার প্রশংসা করতে বাধ্য হতো। তিনি কখনো কাউকে কষ্ট দেননি, বরং শত্রুকেও ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি বলেননি — বরং দেখিয়ে দিয়েছেন, কিভাবে একটি হৃদয়বান জীবন মানুষকে মহান করে তোলে।

আজ আমাদের সমাজে যেটার সবচেয়ে বেশি দরকার, সেটা হলো এই শিক্ষা: ভালোবাসা, দয়া, ক্ষমাশীলতা আর মানবিকতা। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এসব গুণ অর্জন করে, তাদের জীবনে সত্যিকার শান্তি নেমে আসে।

পবিত্র কুরআনেই আবার আল্লাহ বলেন:

"নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণেই অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে।"
— (সূরা রা’দ, আয়াত ২৮)

তাই যখন মন অস্থির হয়, চারপাশে অন্ধকার দেখি — তখন কেবল আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়াই আমাদের প্রকৃত মুক্তির পথ।