শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের বিজয় র‍্যালি


বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে এক বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি বের করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। এ সময় বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোড থেকে এই বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই জায়গায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল হক বলেন, জুলাই আন্দোলনের এক বছর অতিক্রম হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ সেই আগের জায়গায় রয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে হটাতে এবং নতুন এক বাংলাদেশ গড়তে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, সাকিব আনজুম ও শহীদ আলি রায়হানরা জীবন দিয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এখনো এদেশে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব, নেই গণমানুষের স্বাধীনতা।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দল-মত নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালাতে বাঁধ্য হয়। বর্তমানে কিছুটা দ্বিমত পরিলক্ষিত হলেও আমরা ফ্যাসিস্টের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ।

জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার জনমনের আশা পূরণ করতে সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে এই প্রফেসর সকলকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশে থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আমীরুল ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন হয়েছে কিন্তু এখনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট এখনো অধরা। একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে ছাত্র-জনতার সকল আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফরিদুল ইসলাম, ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাবেক অধ্যাপক ড. এফ নজরুল, বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কুদরত-ই-জাহান, রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ, লাইব্রেরি প্রশাসক অধ্যাপক ড. হাবিবুল ইসলামসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষক ও দেড় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।