আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেপ্তারের পর, তাঁর ঘনিষ্ঠ ও সহকর্মী তানভীর রাহী এক সাবলীল সাক্ষাৎকারে আফ্রিদিকে ‘ভয়ংকর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছে

রাহী বলেন, “ক্যামেরার সামনে আফ্রিদি একরকম, কিন্তু ক্যামেরার বাইরেই সে ভয়ংকর — ইউটিউব ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই ওকে বাঘের মতো ভয় পায়।”

তিনি আরও জানান, ঘটেছিল এক ভয়াবহ প্রেক্ষাপট— “রাগ হলে সে বেল্ট খুলে পেটাতো; এমন মানসিকতা মানা যায় না।”

রাহী অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করেন, “যখন মনে হতো কেউ ওর বিরোধিতা করছে, তখন সে ক্ষমতা প্রদর্শন করতে ফোনে বলিয়ে দিত বড় ধরনের কিছু নেতা; একবার ভয়ে আমি ভিডিওকল ধরতেই পারিনি।”

এই বর্ণনা শুধু সামাজিক প্রতিক্রিয়া নয়, বরং আইনি-নৈতিকভাবে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষভাবে প্রশ্ন উঠছে—একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটরের ব্যক্তিগত আচরণে যদি এমন আচরণ বিদ্যমান থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি নয় কি?

তৌহিদ আফ্রিদিকে বর্ণিত এই ভয়ঙ্কর আচরণ–মূলক মনোভাব সম্প্রতি একটি সিআইডি অভিযানে গ্রেপ্তারের পর আলোচনায় এসেছে। তিনি ‘জয়তীগ্রুপ’ হত্যামামলায় আসামি ছিলেন এবং সেই মামলায় আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।