
এ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ চলছে। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকেও এ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। চন্দ্রগ্রহণের সময় নবীজি আমল করতেন। উম্মতকেও সে আমল শিখিয়েছেন।
ইসলামি শরিয়তে, চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেলে মুসলমানদের সালাতুল খুসুফ নামাজ আদায়ের নির্দেশনা রয়েছে। এ নামাজকে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত বলা হয়।
নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, সূর্য ও চাঁদ আল্লাহর দুটি নিদর্শন। এগুলো কারও মৃত্যু বা জন্মের কারণে গ্রহণ করে না। যখন তোমরা গ্রহণ দেখবে, আল্লাহকে স্মরণ করো, নামাজ পড়ো ও দোয়া করো, যতক্ষণ না তা শেষ হয়।
এ নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তবে আলেমরা বেশি বেশি করে ইস্তিগফার, তাকবির, নেক আমল ও দান-সদকার পরামর্শ দিয়েছেন।
হজরত মুগিরা ইবনে শুবা রা. থেকে বর্ণিত রসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে তখন ১. তোমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করবে; ২. তার মহত্ব ঘোষণা করবে, তাকবির বলবে; ৩. নামাজ আদায় করবে এবং ৪. সদকা প্রদান করবে।’ (বোখারি ১০৪০, আবু দাউদ ১১৭৭)কোরআনের ভাষায় চন্দ্রগ্রহণ
চন্দ্র-সূর্য মহান আল্লাহর অনন্য এক সৃষ্টি। পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তিনি সূর্যকে মাধ্যম বানিয়েছেন। চাঁদের মধ্যেও রেখেছেন মানুষের নানা উপকার। চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো নেই, সূর্য থেকে আলো গ্রহণ করেই পৃথিবীতে সে স্নিগ্ধ আলো ছড়ায়। সেদিকে ইঙ্গিত করেই আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই সত্তা, যিনি সূর্যকে কিরণোজ্জ্বল ও চাঁদকে স্নিগ্ধ আলোয় আলোকিত করেছেন।’ (সুরা ইউনুস : ৫)
সুরা কিয়ামাতে রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘যখন দৃষ্টি চমকে যাবে, চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে, তখন সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে’ (আয়াত : ৭-৯)। উল্লিখিত আয়াতে ‘চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে পড়া’- এর বাস্তব রূপই হচ্ছে চন্দ্রগ্রহণ। চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে নবীজির (সা.) নির্দেশনা