.jpg)
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
লালবাগ কেল্লা
মুঘল যুগের এক প্রাচীন স্মারক, যা শুরু হয় ১৬৭৭ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ আজম কর্তৃক। এখানে আছে অন্যতম দিওয়ান, কেল্লার গুমাড (মাদ্রাসা) ও পরী বিবি-এর মাজার। শ্বেত-সাদা মার্বেল কাজ এবং বিশদ টাইলস কাজ দর্শকদের মুগ্ধ করে।
আহসান মঞ্জিল (The Pink Palace)
‘পিংক প্যালেস’ নামে পরিচিত এই বিশাল ভবনটি পুরনো ঢাকার নদীর ধার বরিগঙ্গার কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। নবাব পরিবারের ইতিহাস, পুরাতন আসবাবপত্র, এবং নদীর দৃশ্য—সবই একসাথে এই মিউজিয়ামে পাওয়া যায়।
বিটুল মুকাররাম মসজিদ
ঢাকা শহরের মূল কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। এটি শুধু ধর্মীয় জায়গা নয়, বরং স্থানীয় জনগণের মিলনস্থলও বটে
বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়াম
ইতিহাস, শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ও মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম—সবকিছুই এক সংগ্রহশালায়। পুরাতন সময়ের জীবন ধারার দৃষ্টান্ত, ছবি, শস্ত্র ও পারিবারিক ইতিহাস এখানে দেখতে পাওয়া যায়।
তারামসজিদ (তারার মসজিদ / Star Mosque)
পুরান ঢাকার একটি শিলালিপিতে মোড়া মসজিদ যেখানে নীল-সাদা মার্বেল ও মজাজমজাট শিল্প ভালোবাসার মানুষের আকর্ষণ হয়ে আছে। স্টার প্যাটার্নের মুর্টিকাপ ও ইটের কাজ সত্যিই নজরকাড়া।
বালধা গার্ডেন
খুব বেশি চেনা না হলেও শান্তির জন্য চমৎকার একটি botanical garden, পুরান ঢাকার মাঝেও প্রকৃতির ছোঁয়া থাকে এখানে। রোদের সময় গাছগাছালি হাওয়া, শিশুসহ পরিবারগুলো পিকনিক করতে আসে।
রামনা পার্ক ও জিয়া উদ্যান
শহরের উত্তর এবং মধ্যস্থলে বিশাল সবুজ পরিবেশ, হাঁটার পথ, ফুল-বাগান ও নদীর ক্রেস্টল লেকের জলছবি—বিভিন্ন উৎসবে মানুষের মিলনমেলায় রূপান্তরিত হয়।
কেন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণ
- ইতিহাসের ছোঁয়া – মুঘল, ব্রিটিশ, নবাবদের যাদুঘর সব কিছু মিলিয়ে সময়ের ধারায় হাঁটার সুযোগ।
- শিল্প ও স্থাপত্যে বৈচিত্র্য – মার্বেল, ইট, গম্বুজ, নকশার মধ্যে দেশীয় ও বিদেশী প্রভাব সবমিলিয়ে চোখে ধরা দেয়।
- প্রকৃতি ও শান্তি – পার্ক, উদ্যান এবং নদীর তীর ঘুরে ফেরা শহরের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি দেয়।
- সাংস্কৃতিক মিলনমেলা – খাবার রাস্তাঘাট, পুরাতন দোকানপাট এবং গ্রাফিকাল অভিজ্ঞতা—প্রত্যেকটি পদক্ষেপে ঢাকা নতুন গল্প বলে।
টিপস ট্রাভেলারদের জন্য
- সবচেয়ে ভালো সময়: সকালের দিকে ঘুরাফেরা করলে তাপ কম অনুভব হবে; বিকেলে আলো নরম এবং ছবি তুলতে সুন্দর হবে।
- ভ্রমণের সময়¸ নরম জুতো ও হালকা পোশাক নেবার পরামর্শ।
- “ওল্ড ঢাকা” এলাকায় রাস্তার ধাপে ধাপে যাবার জন্য সময় বেশি লাগতে পারে, তাই ধৈর্য রাখতে হবে।
- নিরাপত্তার দিক থেকে ব্যাগগুলি কাছে রাখতে হবে; বিশেষ করে গুলিস্তান, নিউ মার্কেট ইত্যাদিতে ভিড় বেশি।
ঢাকা শুধু একটি শহর নয়; এটি স্মৃতি, ইতিহাস ও জীবন্ত সংরক্ষণশালা—পুরনো ও নতুন যুগের মিলনস্থল। একদিনের সফরেই আপনি পাবেন ইতিহাসের গন্ধ, স্থাপত্যের সৌন্দর্য, প্রকৃতির সাক্ষী এবং সশরীরে শহুরে সংস্কৃতির ছোঁয়া। তাই যখনই সময় পাবেন—একটি দিন করে ঢাকার সবুজ পার্ক, পুরনো ভবন ও নদীর ধারে হাঁটার সুযোগ হারাবেন না।