গাজীপুরের কালিয়াকৈর রেঞ্জের চন্দ্রা বিটের বোয়ালী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বনজ সম্পদ লুটের ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, খোদ বিট কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে ভোররাতে বনের মূল্যবান গাছ কেটে পাচার করছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
গত ২০ ডিসেম্বর দিবাগত শেষ রাতে বোয়ালী বিট এলাকায় অনুসন্ধানী দল সরেজমিনে অবস্থান নেয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেখা যায়, বনের ভেতর থেকে গাছ কেটে ভ্যানে করে লোকালয়ে আনা হচ্ছে। ফজরের আজানের পরপরই সেই গাছ বোঝাই ভ্যানগুলো বিট অফিসের পাশের একটি সাব-স্টেশনে জমা হয়। সেখানে দেখা যায় আরও চাঞ্চল্যকর দৃশ্য; বন প্রহরীরা প্রকাশ্যেই ভ্যানগুলো থেকে টাকা আদায় করছেন এবং সেই টাকা নেওয়ার পর গাছগুলো নিরাপদে পার করে দেওয়া হচ্ছে।
পাচারের সত্যতা পাওয়ার পর ভোর ৬টার দিকে বিট কর্মকর্তা মোস্তানুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি দাবি করেন তিনি বনের ভেতর টহলে আছেন। কিন্তু যখন তাকে জানানো হয় যে বিট অফিসের পাশেই অবৈধ গাছের ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে এবং টাকা লেনদেন হচ্ছে, তখন তিনি সরাসরি দায় এড়িয়ে বলেন, "আপনারা আমার সহকর্মী আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বলেন।"
অনুসন্ধানী দল যখন তাকে জানায় যে, আলমগীর হোসেনের সাথে কথা হয়েছে এবং আলমগীর বলেছেন তিনি এখন বিটে নেই, তখন মোস্তানুর রহমান থতমত খেয়ে যান এবং বলেন, "আচ্ছা, আমি আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বলে আপনাদের জানাচ্ছি।"
পরবর্তীতে অনুসন্ধানী দল পুনরায় আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। আলমগীর দায়ভার এড়িয়ে সাফ জানিয়ে দেন, "এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না, আপনারা বিট অফিসারের সাথে যোগাযোগ করুন।"
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাবেক বিট কর্মকর্তা ইউনুসের সময় থেকেই এই চুরির সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। বর্তমানে বিট কর্মকর্তা মোস্তানুর রহমান ও তার সহকর্মী আলমগীর হোসেনের যোগসাজশে এই পাচার বাণিজ্য আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিট কর্মকর্তা ও তার সহকর্মীর একে অপরের ওপর দায় চাপানোর বিষয়টি প্রমাণ করে যে, তারা পরিকল্পিতভাবে বন উজাড়ের প্রক্রিয়ায় সরাসরি জড়িত।
কালিয়াকৈর রেঞ্জ অফিসের আওতাধীন এই বনভূমি রক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
অনুসন্ধানী দল যখন তাকে জানায় যে, আলমগীর হোসেনের সাথে কথা হয়েছে এবং আলমগীর বলেছেন তিনি এখন বিটে নেই, তখন মোস্তানুর রহমান থতমত খেয়ে যান এবং বলেন, "আচ্ছা, আমি আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বলে আপনাদের জানাচ্ছি।"
পরবর্তীতে অনুসন্ধানী দল পুনরায় আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। আলমগীর দায়ভার এড়িয়ে সাফ জানিয়ে দেন, "এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না, আপনারা বিট অফিসারের সাথে যোগাযোগ করুন।"
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাবেক বিট কর্মকর্তা ইউনুসের সময় থেকেই এই চুরির সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। বর্তমানে বিট কর্মকর্তা মোস্তানুর রহমান ও তার সহকর্মী আলমগীর হোসেনের যোগসাজশে এই পাচার বাণিজ্য আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিট কর্মকর্তা ও তার সহকর্মীর একে অপরের ওপর দায় চাপানোর বিষয়টি প্রমাণ করে যে, তারা পরিকল্পিতভাবে বন উজাড়ের প্রক্রিয়ায় সরাসরি জড়িত।
কালিয়াকৈর রেঞ্জ অফিসের আওতাধীন এই বনভূমি রক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
