পতিত আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোহাম্মদ বদরুল আলম খান গ্রুপিং-লবিং করে বিগত ২০০৩ সালে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তরে যোগদান করেন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে ঠিকাদারি-বদলি বাণিজ্য, বিভিন্ন প্রকল্পের স্থাপনা নির্মাণে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে রাতারাতি শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান বদরুল আলম খান। তার বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। ইতোপূর্বে ময়মনসিংহে কর্মরত থাকাকালে অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে তার দায়িত্বপদ থেকে ওএসডিও করা হয়েছিল। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভোল পাল্টে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় কর্মী দাবি করে বর্তমানে গণপূর্তের সাভার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে গণপূর্ত অধিদপ্তরের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিয়ে জনমনে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরে অভিযোগ করার পরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অনেকেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে। রাতারাতি অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া বদরুলের বিরুদ্ধে সংস্থাটি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তার অপকর্মের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনে এই অভিযোগটি দেয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে বদরুল আলমের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগে জানা যায়, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোহাম্মদ বদরুল আলম খান দুদক চেয়ারম্যানের নিকটাত্মীয় পরিচয় দিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এদিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এর নামে তোলে নিয়মিত মাসোহারা।
অভিযোগে জানা যায়, বদরুল আলম খানের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সেই সুবাদে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহচর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল মুক্তাদিরের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সহকারী মুসা আনসারীর সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলে। মুসা আনসারী ২০১২ সালে তাকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ওবায়দুল মুক্তাদিরের সাথে। যার সুবাদে দামি উপঢৌকন দিয়ে মোহাম্মদ বদরুল আলম খান সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল মুক্তাদিরের ঘনিষ্ঠজন হয়ে ক্ষমতাধর হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে তিনি ২০১৪ সালে সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের কাছে তদবির করেন ভোলায় লোভনীয় পোস্টিংয়ের জন্য। ভোলায় ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ বছরের চাকরি জীবনে তিনি তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা এমপি মইনুল হোসেন বিপ্লব, এমপি আলী আজম মুকুল ও নুরুন্নবী শাওন এমপির সাথে জোটবদ্ধ হয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প , পুলিশ বিভাগের নতুন থানা নির্মাণ, জেলা ও উপজেলা টিটিসি নির্মাণ, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের সকল দরপত্র নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নেন এবং পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিয়ে কমিশন বাণিজ্যে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়াও তিনি ভোলা গণপূর্ত বিভাগে চলমান মেরামত কাজ থেকে ১৫ শতাংশ হারে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন।
পরবর্তীতে তিনি সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরীর মাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থের বিনিময়ে ২০২০ সালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের কাছে তদবির করে ময়মনসিংহে পোস্টিং নেন। এ সময় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে তাকে মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনার মাধ্যমে ময়মনসিংহ থেকে ওএসডি করা হয়। ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগে চাকরিকালে তিনি বিধি বহির্ভূত ভাবে সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে লাখ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ময়মনসিংহ শহরে অসংখ্য বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদন করেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে চট্টগ্রাম গণপূর্ত সার্কেল-১-এ কর্মরত থাকাকালীন সময়ে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেন। ২০২৪ সালে ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী হলে দুর্নীতিবাজ বদরুল আলম খান মন্ত্রীর রাজনৈতিক এপিএস মুসা আনসারীকে কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-২ অথবা ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-৩-এর যে কোন একটিতে পদায়নের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর উপর চাপ সৃষ্টি করেন। ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরীর অব্যাহত চাপের মুখে বদরুলকে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কোন সার্কেলে পদায়ন করা হবে মর্মে প্রধান প্রকৌশলী সাবেক ওই মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
আরও জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর বদরুল ইতোপূর্বে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল মুক্তাদিরের চাপ সত্ত্বেও পোস্টিং না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর দরজায় লাথি মারাসহ উদ্ধত আচরণ করেন এবং পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পোস্টিং দাবী করেন। তার চাপে পড়ে প্রধান প্রকৌশলী অসহায় হয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ সাভার সার্কেলে তাকে পদায়ন করেন। ৪টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত সাভার গণপূর্ত সার্কেল। বিভাগগুলো হলো- মিরপুর বিভাগ, সাভার বিভাগ, গাজীপুর বিভাগ ও মানিকগঞ্জ বিভাগ। এই চারটি গণপূর্ত বিভাগে সরকারের আবাসন প্রকল্প ও অন্যান্য গুরুত্ত্বপূর্ণ নির্মাণ কাজ চলমান। ওই কাজসমূহে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে শতকরা ৮০ ভাগ কাজ এলটিএম পদ্ধতিতে ও শতকরা ২০ ভাগ কাজ ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজের সার্কেলের আওতায় শতকরা ৮০ ভাগ নির্মাণ কাজ ১৫% টাকার বিনিময়ে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে বিক্রি করেছেন।
দুর্নীতির মাধ্যমে করা অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে- তার স্ত্রীর নামে ঢাকার মালিবাগে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ব্যবসা, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা, নামে-বেনামে বিভিন্ন লাইসেন্সের মাধ্যমে ঠিকাদারী ব্যবসা, স্ত্রী ও বেনামে থাকা ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকার এফডিআর, রাজধানীর গুলশানে নিজ নামে একটি ও স্ত্রীর নামে দুটি বিলাসবহুল আবাসিক ফ্ল্যাটের মালিকানা, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠার তিনটি প্লটসহ আরও অনেক সম্পদ গড়ে তোলেন দুর্নীতিবাজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুল আলম।
দুদকের অভিযোগে আরও জানা যায়, নিজ সার্কেলের অধীনে থাকা মিরপুর, সাভার, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগের প্রতিটি বড় কাজ, যেমন- গাজীপুরের পূবাইলে থানা ভবন নির্মাণ (ই-জিপি দরপত্র আইডিঃ ১১৭৮৫৩৫, প্রাক্কলিত মূল্য ১৬ কোটি টাকা), গাজীপুরে সদর থানা ভবন নির্মাণ (ই-জিপি দরপত্র আইডিঃ ১১৮৪৩৯৮, প্রাক্কলিত মূল্যঃ ২২ কোটি টাকা) ,গাজীপুরে কালিয়াকৈর থানা ভবন নির্মাণ (ই-জিপি দরপত্র আইডিঃ ১১৮৪৩৯৭, প্রাক্কলিত মূল্যঃ ১১ কোটি টাকা) , গাজীপুর জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ (ই-জিপি আইডিঃ ১১৮৩৫২৩, প্রাক্কলিত মূল্যঃ ২০ কোটি টাকা), গাজীপুরে র্যাব ফোর্সেস ট্রেনিং স্কুল নির্মাণ প্রকল্পের ১৬০০ ও ৮০০ বঃফুট স্টাফ কোয়ার্টার, সুইমিং পুল, সাব-স্টেশন ভবন নির্মানের অবশিষ্ট কাজ (ই-জিপি দরপত্র আইডি ১০০৮২০৭, প্রাক্কলিত মূল্য ৮ কোটি টাকা), গাজীপুরে জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (নাটা) তে ছয় তলা লেডিস হোস্টেল নির্মাণ (ই-জিপি দরপত্র আইডি ১০২৫০৩৮, প্রাক্কলিত মূল্য ১৫ কোটি টাকা), মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে মডেল মসজিদ নির্মাণ (ই-জিপি দরপত্র আইডি ১০৫৮৬৭০, প্রাক্কলিত মূল্য ১৪ কোটি টাকা), জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গাজীপুরে দোতলা ক্যাফেটেরিয়া ভবন নির্মাণ (ই-জিপি দরপত্র আইডি ১০৬৭১২২, প্রাক্কলির মূল্য ৭.৫০ কোটি টাকা), ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ লাইন-২, গাজীপুরের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার অবশিষ্ট কাজ (ই-জিপি দরপত্র আইডি- ১০৭৬৭৩৬, প্রাক্কলিত মূল্য ৫ কোটি টাকা), মিরপুরের পাইকপাড়া সরকারী কলোনীতে গ্যাস সংযোগ প্রদান কাজ (ই-জিপি দরপত্র আইডি ১০৯৩৭০৬, প্রাক্কলিত মূল্য ৯ কোটি টাকা), মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানা ভবনের অবশিষ্ট কাজ (ই-জিপি দরপত্র আইডি ১১০৩৬৪৬, প্রাক্কলিত মূল্য ৪.৫০ কোটি টাকা), গাজীপুরে পুলিশের ১৫ তলা টাওয়ার ভবনের অবশিষ্ট কাজ (ই-জিপি দরপত্র আইডি ১১০৬৩৬৬, প্রাক্কলিত মূল্য ৫.০০ কোটি টাকা), মিরপুরে ভাষানটেক থানা ভবন নির্মাণ (ই-জিপি দরপত্র আইডি ১১৩২৩৪৪, প্রাক্কলিত মূল্য ২০ কোটি টাকা) , মিরপুরে ২০ তলা পুলিশ ব্যারাক ভবনের অবশিষ্ট কাজ ( ই-জিপি দরপত্র আইডি ১১৩৩৪০৯, প্রাক্কলিত মূল্য ৫ কোটি টাকা)’সহ আরও অন্যান্য ছোট-বড় কাজের প্রতিটিই তার বিশ্বস্ত ঠিকাদারকে প্রদান করেন এবং শতকরা ৫% হারে কমিশন গ্রহণ করেছেন বদরুল আলম। এ সকল বড় দরপত্র হতে ১৫ কোটি টাকারও অধিক টাকা সংগ্রহ করেছেন এই কর্মকর্তা। এছাড়াও তিনি নিজের সার্কেলের বাইরেও ঢাকাসহ সারা দেশে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রতিটি বড় দরপত্র হতে শতকরা ১% কমিশন গ্রহন করেন নতুবা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দরপত্রের বিষয়ে অভিযোগ করার ভয় দেখান।
তার দপ্তরের অধীনস্থ প্রতিটি গণপূর্ত বিভাগের প্রতিটি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষন কাজ হতে শতকরা ৫% হারে কমিশন গ্রহণ করেছেন এবং এগুলো থেকে ৫ কোটি টাকারও অধিক টাকা সংগ্রহ করেছেন। তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের স্মারক নং ২৫.৩৫.০০০০.২১৫.১৯.১০৭.১১-১৪২৮, তারিখঃ ০৪/১১/২০২৫ এর মাধ্যমে ই/এম গণপূর্ত জোনে ৭ জন নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলী হয়েছে, যেগুলোর প্রতিটি থেকে ১ কোটি টাকা করে মোট ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের স্মারক নং ২৫.৩৬.০০০০.২১৫.১৯.১০৪.২৪-১৫১৫, (তারিখঃ ১৭/১১/২০২৫)-এর মাধ্যমে ঢাকায় বিভিন্ন গণপূর্ত উপ-বিভাগে ৫ জন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর বদলী হয়েছে, যেগুলোর প্রতিটি থেকে ৩০ লাখ টাকা করে মোট ১.৫০ কোটি টাকা নিয়েছেন এই বদরুল আলম খান। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের স্মারক নং ২৫.৩৬.০০০০.২১৫.১৯.১০৩.২৪-১৫৮৫, তারিখঃ ২৫/১১/২০২৫ এর মাধ্যমে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৫ এ নির্বাহী প্রকৌশলীর পদায়ন হয়, যেখান থেকে ১ কোটি টাকা নেন বদরুল আলম খান। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের স্মারক নং ২৫.৩৬.০০০০.২১৫.১৯.১০৩.২৪-১৫৪৯, তারিখঃ ২০/১১/২০২৫ এর মাধ্যমে ঢাকায় দুটি গুরুত্ত্বপূর্ণ গণপূর্ত উপ-বিভাগে ২ জন নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলী হয়েছে, যেগুলোর প্রতিটি থেকে বদরুল আলম খান ১ কোটি টাকা করে মোট ২ কোটি টাকা নিয়েছেন বলেও দুদকের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে, সম্প্রতি গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পরিবর্তন হবার পর থেকে ঢাকা, ঢাকার আশপাশসহ সারা দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পদে মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পদায়নের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনেক অফিসারের কাছ থেকে দুর্নীতিবাজ বদরুল আলম খান টাকা সংগ্রহ করেছেন এবং ক্রমাগতভাবে এসব অফিসারকে পদায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সাভার সার্কেল গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম খানের সকল অপরাধ নিবিড় তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সরকারি চাকরি বিধি মোতাবেক দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দুদককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অপরদিকে, সম্প্রতি গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পরিবর্তন হবার পর থেকে ঢাকা, ঢাকার আশপাশসহ সারা দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পদে মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পদায়নের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনেক অফিসারের কাছ থেকে দুর্নীতিবাজ বদরুল আলম খান টাকা সংগ্রহ করেছেন এবং ক্রমাগতভাবে এসব অফিসারকে পদায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সাভার সার্কেল গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম খানের সকল অপরাধ নিবিড় তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সরকারি চাকরি বিধি মোতাবেক দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দুদককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাভার সার্কেলে কর্তব্যরত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুল আলম খানের কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও তার সাক্ষাৎ মেলেনি। এরপর তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার অধীনস্থ কর্মকর্তারা চাকরি হারানোর শঙ্কা প্রকাশ করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
দুদক জানিয়েছে, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে সেগুলোর তথ্য গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে অনুসন্ধান দল। অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

