এর আগে, গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসা থেকে গৃহবধূ লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নাফিসার বাবা আ. জ. ম. আজিজুল ইসলাম মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি উত্তরার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার দিন সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে সাদা সালোয়ার কামিজ, প্রিন্টের ওড়না ও পায়ে কেডস জুতা পরে ভবনের সিঁড়ি দিয়ে ধীরস্থিরভাবে নেমে আসছেন এক তরুণী। তার পিঠে ব্যাগ ও মুখে ছিল মাস্ক। ওই সময় ভবনের প্রধান প্রবেশপথে বসে ছিলেন তিনজন। ওই তরুণী বের হওয়ার সময় তাদের একজন উঠে দাঁড়িয়ে গেট খুলে দেন। পরে ভবন থেকে বেরিয়ে ওই তরুণী অটোরিকশায় উঠে চলে যান।
স্কুল ড্রেস পরে বেরিয়ে যাওয়া ওই তরুণী মূলত নিহত নাফিসাদের বাসার গৃহকর্মী আয়েশা। ওইদিন বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে হত্যার পর নাফিসার পোশাক পরেই বের হয়ে যায় সে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম। পরে ফিরে এসে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। ওই সময় মেয়ে নাফিসাকে জীবিত অবস্থায় পেলেও পরবর্তীতে হাসপাতালে নেয়ার পর সেও মারা যায়। পরে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করে পুলিশ।
