আগামীকাল মহান বিজয় দিবস

‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল...’। এই ডিসেম্বরের কুয়াশা মোড়ানো এক ভোরে বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিল স্বাধীনতার নতুন সূর্য, উড্ডীন হয়েছিল লাল-সবুজ পতাকা। বাতাসে অনুরণন তুলেছিল অগণিত কণ্ঠের সুর ‘আমার সোনার বাংলা/ আমি তোমায় ভালোবাসি...।’এ দিনটি তাই একদিকে যেমন এ দেশের মানুষের কাছে চিরগৌরব ও আনন্দের, তেমনি একই সঙ্গে স্বজন হারানোর বুকভাঙা আর্তনাদের আর বেদনার।

দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধ করেছিলেন দেশের সব ধর্ম, বর্ণ, ভাষার বীর সন্তানেরা। শেষ পর্যন্ত ৩০ লাখ মানুষের প্রাণ, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল সম্পদহানির ভেতর দিয়ে মুক্তির সংগ্রামে সফল হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ছিনিয়ে এনেছিলেন চূড়ান্ত বিজয়। জাতিকে মুক্ত করেছিলেন পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে।

কাল মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর, এ দেশের বিজয়ের ৫৪ বছর পূর্তির দিন। মহান বিজয় দিবস। এই দেশের মানুষ চিরকাল এই দিনটির জন্য গর্ববোধ করবে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙ্গালি জাতি এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাম সংযোজিত করেছিল। এর মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার স্বীকৃতি মেলে। প্রতি বছর দেশের মানুষ এই দিনটিকে আনন্দ উচ্ছ্বাসের মাধ্যমে পালন করে।

তবে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর বেশকিছু সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের প্রত্যুষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ উপলক্ষে ঢাকা থেকে আমিন বাজার হয়ে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে ভোর ৩টায় থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা, বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিকরা এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমনাগমন করবেন।