কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রাম উলিপুরে হাতিয়া ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের তীব্র নদীভাঙন ও ঘন কুয়াশাসহ হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে অত্র এলাকার মানুষ। একদিকে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন অন্যদিকে শীতের তীব্রতা প্রচন্ডশীতে ঘর বাড়ী সরে নিচ্ছে হাতিয়ার কলাতীপাড়ার লোকজন। আশ্রয় নিচ্ছে পাশের গ্রামে নতুবা আতœীয় স্বজনের বাড়ীতে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙানে গত ছয় মাসে কলাতি পাড়া,নয়াদাড়া,হাতিয়ার গ্রাম, নীলকন্ঠ গ্রামে ২৫ একরও বেশি আবাদি জমিসহ কৃষকের বসতবাড়ি অগভীর নলকুপ, কলাবাগান নদে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন,কিছুদিন আগে এমপি মন্ত্রীসহ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরী ভিওিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ব্যবস্থা গ্রহনে জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড সামান্য জায়গায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেললেও পুরোপুরিভাবে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হয় নাই।
কামারটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক মো:আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেন বলেন,আমার প্রায় এক একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। অপর দিকে ঘন কুয়াশায় প্রচন্ড ঠান্ডায় ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া পরিবার গুলো। এতে হাতিয়ার চরা লের লোকজন কাজে বের হতে না পেরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
হাতিয়া ইউনিয়ন শাখার আওয়ামীলীগের ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন,হাতিয়ার দুংখ ব্রহ্মপুত্র। আমাদের এম.পি মহোদয় নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করে এ অ লেকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করবেন।
অপরদিকে একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগীতায় ভাঙন কবলিত গ্রাম থেকে প্রায় ৩০০মিটার উওরে অবৈধভাবে নদের মাঝ থেকে বালু উওোলনের মাধ্যমে জমজমাট ব্যবসা করছেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীগন। প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে বালু উওোলনের ফলে হুমকির মুখে হাতিয়া ভবেশ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র,ডোবার পাড় জামে মসজিদ, হাতিয়া ভবেশ বাজার,কামারটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।