নীলফামারী: নীলফামারীতে বিদেশ ফেরৎ ১৬০জনকে সনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের কেউই করোনা সনাক্ত নয় বলে জানিয়েছন জেলা সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন। 
শনিবার সকালে নীলফামারী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে, জেলা সিভিল সার্জন একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথাসহ তিনি আরো বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৩২জনকে সনাক্ত করা হয়, সব মিলিয়ে বিদেশ ফেরৎ মোট ১৬০জনকে সনাক্ত করে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাঁদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাক্ষ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীরা। করোনা প্রতিরোধে জেলার ৬টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই রয়েছে আইসলুশন সেন্টারসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা। এছাড়াও কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে ১০৬টি পার্সোনাল প্রটেক্ট ইকুইবমেন্ট (পি.পি.ই)।
নীলফামারীর আধুনিক সদর হাসপাতালে হোমকোয়ারেন্টাইনের জন্য রয়েছে আলাদা ভাবে ৬৮টি বেট। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে ৫টি করে বেট। যে কোন জরুরী সেবা দেয়ার জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ২টি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের হোমকোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাক্ষ্য বিভাগ। 
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে আধুনিক সদর হাসপাতালের ফ্লু-কর্ণার এর কর্তব্যরত দুজন ডাক্তার জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে, সাংবাদিকদের সামনেই জেলা সিভিল সার্জনের কাছে জীবন ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবীতে পার্সোনাল প্রটেক্ট ইকুইবমেন্ট (পি.পি.ই) চেয়ে জেলা সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মনের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরে জেলা সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন ডাক্তারের এসব দাবী মানা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।     
এদিকে, জেলা জুড়েই রয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের লিফলেট, হ্যান্ডবিলসহ দেয়ালে পোষ্টার সাটানোর কার্যক্রম। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলছে বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্পেইন।