আদি ইসলাম রাকিব। কিশোরগঞ্জ

ঝুঁকি জেনেওদুরত্বে থাকার নির্দেশনা মানছেন না অনেকেই, ঘরে থাকার কথা থাকলেও তা পালন করছেনা কেউ-ই। করোনাভাইরাসের জন্য দেয়া ছুটিতে ঘরে অবস্থান না করে অলিতে গলিতে দেখা যাচ্ছে মানুষের অবাদ ঘোরাফেরা আর বাজার গুলোতে বেড়েছে ভির। প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে মানুষের এই বেড়িয়ে পড়া কিশোরগঞ্জে বাড়াবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
কিশোরগঞ্জ শহরের প্রানকেন্দ্র পুরানথানার মোড়। গত বেশ কিছুদিন গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলেও মানুষের অবাদ ঘোরাফেরা বা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বেড় হওয়া বেশ চোখে পড়ার মতো। এ ব্যপারে এক কলা বিক্রেতা ও রিকশা চালকে জিজ্ঞসা করলে তারা জানায় তারা যদি বের না হয় তাহলে তাদের পরিবারের সবাইকে নাখেয়ে মরতে হবে।আবার একই বিষয়ে  কিছু কিছু সচেতন মানুষকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় উনারা বাজার করতে এসেছেন ঠিকি তবে এখান থেকে এই ভাইরাস তাদের বাসা বাড়ি মহল্লাতেও পৌঁছে যায় কি-না তা নিয়েও বেশ দুস-চিন্তায় আছেন তারা। এদিকে সাধারণ ছুটির কিছুদিন যেতে না যেতেই কেমন জেনো অধর্য হয়ে উঠেছেন কিশোরগঞ্জ বাসী। অন্যদিকে খেটে খাওয়া মানুষেরাও পথে নেমেছে জীবিকা নির্বাহের সন্ধানে। সাথে মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্তরাও। এদিকে দিন-রাত নীর-অলস কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও কিশোরগঞ্জ র‍্যাব-১৪, সিপিসি-২। রাস্তাঘাট বাজার গুলোতে ভির কমাতে নেয়া হচ্ছে উদযোগ। তবে বিপরীত দৃশ্য কিশোরগঞ্জের সবচেয়ে বড় খুচরা ও পাইকারী বাজার বড় বাজারে। দুরত্বে থাকাতো দুরের কথা দিনভর অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরা আর মানুষের ভির থাকছে সারাদিন। এবিষয়ে কাচাবাজারি জানায় আইনসৃংখলা বাহিনীর কেউ-ই বাজারে এসে কিছুই বলেনি  বা নজরদারিও করেনি বরং রাস্তাঘাটেই  দেখা মিলে এ ব্যপারে বলতে। তাছাড়া কাষ্টমারগনেই একে অপরের থেকে একটু দুরত্ব বজায় রাখেন কিন্তু এই দুরত্বতাতে ঝুঁকিথেকেই যায়। এবিষয়ে বাজারে বাজার করতে আশা কয়েকজন সচেতন নাগরিক বলেন এ ব্যপারে প্রশাসনের আলাদাভাবে বারতি নজর দেয়া উচিত নয়তো এই বাজার থেকেই ছড়াতে পারে এই প্রানঘাতী করোনাভাইরা।
জনসমাগম করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবচেয়ে বড় মাধ্যম, তা জেনেও উদাসীন কিশোরগঞ্জের মানুষ।