কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও ঝুঁকি এড়াতে উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে লকডাউন করে দিয়েছে এলাকাবাসি । করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষকে সচেতন করতে স্থানীয় প্রশাসন নানা নির্দেশনা দিলেও তা খুব একটা আমলে নেয়নি সাধারণ মানুষ। তবে গত দুই দিনে করেনা ভাইরাসের ভয়াবহতা বুঝতে পেরে সচেতন হচ্ছে তারা। শুক্রবার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বাইরে থেকে আসা মানুষের যাতায়াতও সীমিত করছে এলাকাবাসী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। যাতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার প্রবেশ পথে যাতায়াত কারীদের হাত ধোয়ারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।জানা গেছে, ওইসব এলাকার কোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়নি এমনকি আশেপাশেও করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন সড়ক ও নৌ-পথে ভূরুঙ্গামারীতে আসার কারণে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পরার ব্যাপক আশংকা রয়েছে। তাই স্থানীয়রা নিজ পরিবার ও এলাকাবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে বাঁশ বেঁধে লকডাউন করে দিচ্ছেন নিজ নিজ এলাকা।উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়নের কলেজ মোড়, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের দাদা মোড়, তিলাই ইউনিয়নের ধামেরহাট, মাদরাসা মোড়,জামতলা, শালমারা, কাঁলাচান মোড়, ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া, দেওয়ানের খামার , পূর্ব দেয়ানের খামার , সরকারি কলেজ পাড়া ও ভূরুঙ্গামারী টু থানাঘাট সড়কে বাঁশ বেঁধে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে লক ডাউন করে ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।মূলত অপিরচিত ও ঢাকা ফেরত লোকজনের অবাধে চলাচল বন্ধ করতে তারা লকডাউন করে রেখেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোথাও লকডাউন ঘোষনা করা হয়নি। করোনা ছড়িয়ে পরার আশংকায় স্থানীয়রা যদি লক ডাউন করলে করতে পারে।