নীলফামারী: সারা দেশে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে মহামারী করোনার সংক্রমন। এটি ঠেকাতে সারা দেশের ন্যায় নীলফামারী জেলাকেও করা হয়েছে লকডাউন। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সরকার প্রধান। অথচ নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নে দেখা মিলেছে ভিন্ন চিত্র। সামাজিক দুরত্ব তো দুরের কথা বরং ঠেলাঠেলি করে গ্রহণ করছেন ভাতা। এর ফলে রয়েছে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি। 

বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা সদর উপজেলার ৫নং টুপামারী ইউনিয়নের ইউ,পি কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত না করে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকির মধ্যেই ১৯০জন প্রতিবন্ধী ও ৩৪৩ জনের বিধবা’র মাঝে দেয়া হয়েছে এসব ভাতা। ভাতা নিতে আসা অনেকেরই মধ্যে হাচি-কাশিও লক্ষ্য করা গেছে। এতে করে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। 

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় জেলা সদরের ৫নং টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মছিরত আলী শাহ ফকির’র সাথে, তিনি সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত না করার ব্যর্থতা স্বীকার করে বলেন, “এমন মানুষই হয় না, কেমন করি কি করেন? বেটি ছোয়া মানুষ, এরাকি বোঝে সামাজিক দুরত্ব? সব চৌকিদার দিয়াও ওমাক (ওদেরকে) বোঝা যায়ছে না (বোঝানো যাচ্ছে না)”।

এদিকে, ভাতা নিতে আসা এমন অনেকের মধ্যেই হাচি-কাশি বিদ্যমান থাকলেও, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (সংক্রমন) নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন চেয়ারম্যান মছিরত আলী শাহ ফকির বলছেন স্থানীয়রা।