দূর্গাপুর প্রতিনিধিঃ

রাজশাহী দূর্গাপুর থানার সামনের সেই ঐতিহ্যবাহী কালিতলার শতবর্ষী পাইকর গাছ প্রশাসনের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাটছে মন্দির কর্তৃপক্ষ । এলাকার প্রবীন ব্যাক্তিরা বলছে এখানে কালীপূজো প্রচলন হওয়ায় অনেক আগে থেকেই আছে এই পাইকার গাছ ।

আমাদের বাপ দাদারাও এই গাছ এমনি দেখেছে কিন্তু মন্দির সম্প্রসারণ নামে একটু একটু করে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছের অনেক অংশ। দূর্গাপুরের কিছু প্রবীন ব্যাক্তিগন জানান এভাবেয় এরা একটু একটু করে এই প্রাচীন গাছটি কেটে এটা বিলুপ্ত করার চেষ্টা করছে এভাবেয় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে প্রাচীন নিদর্শন। আরো জানান, এই গাছ আগে অনেক বড়ো ছিলো চারিদিকে এর দাড়ি ঝুলে থাকতো আমরা ছোট্ট থাকতে তা বেয়ে বেয়ে গাছে উঠতাম। আমাদের বাপ দাদারাও এই গাছটি কে এমনি দেখেছে। তারা বলতো আগে এটা পাইকড় তলা নামে পরিচিত ছিলো। কেউ এর সঠিক বয়স বলতে পারবে না কিন্তু এটা শতবর্ষী সেটা সন্দেহ ছাড়াই।আমার খুবই খারাপ লাগছে আস্তে আস্তে গাছটিকে কেটে ফেলা হচ্ছে ।

সরকারের কোনো রকম অনুমতি ছাড়া সরকারি বৃক্ষ এর একটি ডাল কাটাও আইনত ডন্ডনিয়। কিন্তু কোনোরকম প্রশাসন এর অনুমতি ছাড়াই শতবর্ষী এই ঐতিহ্যবাহী গাছ কাটার ব্যাপারে মন্দির কর্তৃপক্ষ বলে। আমারা সুধু মরা ডাল কাটছি গাছ কাটছী না। তাদের প্রশ্ন করা হলো, এতো মোটা মোটা কাচা ডাল কিভাবে ডাল ছাটা হতে পারে? এটার কোনো উত্তর পাওয়া যাইনি।

এই বিষয়ে উপজেলার নির্বাহী আফিসার ইউএনও, মহাসীন মৃধা মুঠো ফোনে জানান। এই বিষয়ে আমাকে কোনো কিছুই জানানো হয়নি বা কোনো লিখিত  অনুমিত ও নেয়নি তদন্ত সাপেক্ষে অইনগত ব্যাবস্থ নেয়া হবে বলে জানান  ।

দূর্গাপুরে এর সাধারণ মানুষের একটাই দাবী শতবর্ষী এই প্রাচীন  পাইকর গাছটিকে রক্ষা করা হোক। ঐতিহ্য এর উপর আঘাত হানার জন্য দোষী দের শাস্তির আওতায় আনা হোক।