কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি      
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের সিদলা ইউনিয়নের বিন্না কড়ইকান্দি গ্রামের মৃত গোলাম মস্তফার স্ত্রী মোছাঃ রহিমা খাতুন (৪৫), ও  মৃত আঃ হান্নানের স্ত্রী মোছাঃ সখিনা খাতুন(৪২) কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে প্রতিবেশি আজিজুল (২৫),মোঃ আলামিন (৩০), ও সাহাব উদ্দিন (৪০)। 
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় দু পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে কয়েক বছর ধরে মামলা চলে আসছে। গত ৯ ই সেপ্টেম্বর  সকালে  মৃতঃ গোলাম মস্তফার দখলকৃত  বসত বাড়িতে বাশঝাড় কাটতে শুরু করে। এ সময়  বাশকাটার ও আসামীদের হই হুল্লার শব্দ শুনে মৃতঃ আঃ হান্নানের স্ত্রী মোছাঃ সখিনা খাতুন এগিয়ে গিয়ে বাশকাটতে নিষেধ করলে বাকবিতনডা হয়, এই বাধা দেয়ার কারনে মোঃ লতিফ মিয়া (৪৫) ও মোঃ রোকন, আজিজুল (২৫) ও মোঃ আলামিন (৩০),নামের দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার আদেশ দেয়।
তারি সাথে সাথে আজিজুল ও আলামিনের হাতে থাকা রমদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মোছাঃ সখিনা খাতুনের মাথা ও ডান কাধে কুপ দিয়ে গুরুতর জখম করে। আহত সখিনা খাতুনের ডাকচিৎকারে রহিমা খাতুন দৌড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আরেক আসামী সাহাব উদ্দিন (৪০) এর হাতে থাকা রামদা দিয়ে মোছাঃ রহিমা খাতুনকেও কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে  মাথার মধ্যাংশে কুপ দিয়ে গুরুতর আহত করে।
আসামীদের ফিরানোর উদ্দেশ্যে শিল্পী আক্তার (১৭) এগিয়ে গেলে মুকারিম (২০) নামের যুবকের হাতে থাকা রড দিয়ে তাকেও আঘাত করে এবং  মালেক (২৮) ও মোঃ নাজমুল (১৯) নামের দুই আসামী শিল্পীকে সকল আসামীদের সামনে জড়িয়ে ধরে টানা-হেচড়া করে কাপড়চোপড়  ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং মোঃ রউফ (৫০), মোঃ রোকন (৫০),গফুর মিয়া (৪৮), আবু সাঈদ (৪৫), মোঃ সুরুজ আলী (৫০),ও মোঃ বকুল মিয়া (৪৫) নামের আসামীরা বসত বাড়ির ঘরে প্রবেশ করে আসবাব পত্র ভাংচুর করে আনুমানিক ১ লক্ষ্য টাকার ক্ষতি সাধন করে ও  আলমারি থেকে গরু বিক্রয়ের ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
আহতদের ডাকচিৎকারে আত্বীয়স্বজন সহ এলাকাবসী ছুটে এসে আসামীদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে। পরে আহতদের আত্বীয়স্বজনেরা অটোরিকশা যোগে হোসেনপুর উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে মোছাঃ সখিনা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কিশোরগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে পাঠান। পরে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সেখানে ১ দিন রাখার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সখিনা খাতুনের অবস্থা আসঙ্কাজনক দেখিয়ে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন। উক্ত হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন সখিনা খাতুন। এ ঘটনার পরে আসামীদের ভয়ে আহতদের বাড়িতে ও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। 
এ ব্যাপারে হোসেনপুর থানায় আহতদের আত্বীয়স্বজনেরা মামলা দায়ের করেছেন।