হায়েনাদের কবল থেকে রক্ষা পেতে বাস থেকে লাফ দিয়ে পড়ায় মাথায় আঘাত পান তরুণী; আঘাত লেগেছে তার হাতেও। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া ঘটনায় আঘাত লাগে তার মনেও। এখন তিনি মানসিকভাবে শক্ত আছেন, সেই সঙ্গে আছে তার সাহসও। বাসের ভেতরে যারা তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালিয়েছিল তাদের বিচারের দাবিও জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ওই কলেজছাত্রী।

তাকে শনিবার সন্ধ্যার দিকে সিলেট থেকে দিরাইয়ে যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিল বাসের চালক ও তার সহযোগী। এ সময় ওই বাস থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করেন তিনি।


শনিবার রাতেই তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুরে তকে ওই হাসপাতালের নারী ও শিশু সুরক্ষা কেন্দ্র ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রোববার সকালে ওই তরুণীকে দেখতে গিয়েছিলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়। এ সময় তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাও বলেন এই চিকিৎসক।
তরুণীর বরাত দিয়ে ডা. হিমাংশু লাল রায় সময়ের আলোকে বলেন, ওই তরুণীটি বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার কারণে রক্ষা পেয়েছে। আমি সাহস আর বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ। তরুণীটি আমাকে জানিয়েছে, বাসের চালক তার চুল ও হাত ধরে যখন টেনে ধরেছিলেন তখনই সে বুদ্ধি করে জানালা দিয়ে লাফ দেয়।


বাসে আচমকা এমন ঘটনায় মেয়েটি খুব কষ্ট পেয়েছে জানিয়ে ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু বলেন, আঘাত পেলেও মেয়েটি এখনও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েনি, সে মানসিকভাবে শক্ত
আছে।