তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বে মোট এইডস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩৮ মিলিয়ন। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৮ মিলিয়ন। দেশে এ রোগে গত বছর মৃত্যু হয়েছে একহাজার ২৪২ জনের। আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ৫৭২ জন, চট্টগ্রামে দুই হাজার আট জন, সিলেট বিভাগে এক হাজার ১৯ জন রয়েছেন।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ধারণা আছে এইচআইভি এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের জীবনযাপন ভালো না। তাদের জীবনযাপন ইসলামিক না। এজন্য তাদের এইডস হয়েছে। তাদের দিকে প্রথমে আঙুল তুলে দেখানো হয়, সে পাপাচারে লিপ্ত ও পাপী। এ জন্য কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা ও বৈষম্য দূর করতে পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ইসলামিক প্রোগ্রামগুলোতে এইচআইভি এইডস ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে।’
রোগটা যাতে না ছড়ায় সেজন্য প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মন্তব্য করে অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে সারাদেশে ২৮টি এইচটি সেন্টার আছে। জিন এক্সপার্ট মেশিনে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তে কাজ করা হচ্ছে। মেশিনটি ইতিমধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, তাই দ্রুত সময়ে বাকিদের শনাক্তের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’