অনেকেই শীতকালে বেশ খানিকটা ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। এই ওজন পরবর্তী বছরেও আর কমে না। কিন্তু শীতের সঙ্গে ওজনের কী সম্পর্ক?
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের এই গবেষণা বলছে, গড়পড়তা বেশির ভাগ মানুষই শীতকালে একটু কম চলাফেরা ও হাঁটাহাঁটি করেন, শীতের ভয়ে কমিয়ে দেন প্রাতর্ভ্রমণও; কিন্তু ওদিকে শীতকালে খাবারের পরিমাণও যায় বেড়ে। গ্রীষ্মের তুলনায় শীতে খাওয়া হয় বেশি, কিন্তু ক্যালরি ক্ষয় হয় কম। বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, ফলে শরীরে মেদ জমে তাড়াতাড়ি। তাই শীতকালেও ব্যায়াম করতে হবে।
শীতকালের ব্যায়াম
ঠান্ডা লাগার ভয়ে এখন অনেকেই সকালের হাঁটা বাদ দিয়েছেন। কিন্তু দৈনিক হাঁটার অভ্যাস বাদ দেওয়াটা ভালো কথা নয়। ঠান্ডা এড়াতে বরং আপনি কিছু পরামর্শ মেনে চলতে পারেন। যেমন কুয়াশা ও শিশিরের হাত থেকে বাঁচতে খুব ভোরে বা সন্ধ্যায় না হেঁটে সময়টা পাল্টে নিন। সকালের নরম রোদটা ওঠার পর বা বিকেলে হাঁটতে বেরোন। দুই বা তিন স্তরে জামা পরুন। মাথায় অবশ্যই একটা টুপি বা স্কার্ফ। কেননা এই সময় দেহের এক-তৃতীয়াংশ তাপ মাথা থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। পায়ে পরুন মোজা ও কেডস। হাঁটা শুরুর আগে ওয়ার্মআপ করে নেওয়া দরকার। শিশিরভেজা পিচ্ছিল রাস্তা বা ফুটপাত থেকে সাবধান। কুয়াশায় চারদিক অন্ধকার হয়ে এলে ওই সময় বের না হওয়াই ভালো, দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। আর গরমের মতো শীতেও কিন্তু আপনার দেহে যথেষ্ট পানি চাই। তাই পানি পান করুন।
সূত্র: এবিসি হেলথ