ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েশি দ্বীপে স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান আলী রহমান বলেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। খবর এএফপির।রয়টার্সের খবরে এর আগে ৭ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়। ভূমিকম্পে অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ সময় আতঙ্কিত লোকজন ভবন ছেড়ে নিরাপদ স্থানের দিকে ছোটেন। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ম্যাজেন শহর থেকে ৬ কিলোমিটার (৩ দশমিক ৭৩ মাইল) উত্তর-পূর্বে মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে ম্যাজেন শহরে ৪ জন নিহত ও ৬৩৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাশের মামুজু শহরে ৩ জন নিহত ও ২৪ জনের মতো আহত হন। নিহত বাকিদের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পের সময় হাজার হাজার আতঙ্কিত মানুষ বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থলের দিকে ছোটেন। 

ভোরে আঘাত হানা এ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৬০টি বাড়ি। ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব ছিল ৭ সেকেন্ডের মতো। তবে ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
_________________________________________

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা আজ ভোরে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভূমিকম্পের কারণে অন্তত তিনটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ২০১৮ সালে সুলাওয়েশি দ্বীপের পালু শহরে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সুনামি হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।


এই ভূমিকম্পের আগে গতকাল বৃহস্পতিবার একই স্থানে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ সময়ও কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা আজ ভোরে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভূমিকম্পের কারণে অন্তত তিনটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।